ঢাকা: রাজধানীর আদাবরে অভিযান চালিয়ে জাল টাকাসহ তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-২)।
র্যাব-২ এর অপারেশন অফিসার সিনিয়র এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) মারুফ আহমেদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুর সোয়া ১ টায় রাজধানীর আদাবর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মোহাম্মদ সাগর (২০), মোহাম্মদ হাসান (২০) এবং মোহাম্মদ ইমন (২২) নামের তিন যুবককে জাল টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে একলাখ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের অপারেশন অফিসার আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে, জাল টাকা তৈরি থেকে শুরু করে বাজারজাত করণ পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে সিন্ডিকেটভিত্তিক লোক কাজ করে।
প্রথম ধাপে জাল কারেন্সি নোট প্রস্তুতকারীরা, পাইকারি বিক্রেতার কাছে এক লাখ টাকার একটি বান্ডিল ৩৫ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
২য় ধাপে পাইকারি কারবারিরা আবার এসব টাকা খুচরা কারবারির কাছে ৬০-৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
৩য় ধাপে খুচরা কারবারিরা এসব টাকা নিজস্ব লোকজনের মাধ্যমে সরাসরি সুকৌশলে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে। বিশেষ করে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা সমূহে গুলিস্তান, যাত্রাবাড়ী, ফার্মগেট, সদরঘাট, নিউমার্কেট, কাওরান বাজার, গাবতলী এবং মিরপুরে বিক্রি করা হয় এসব জাল টাকা।
জালনোট ব্যবসায়ীদের টার্গেটে থাকে মূলত অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, বৃদ্ধ, দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকরা।
র্যাবের অপারেশন অফিসার মারুফ আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃত সাগর পেশায় একজন চা বিক্রেতা। চা বিক্রয়কালে বাবুল নামের এক জালটাকা ব্যবসায়ীর সাথে তার পরিচয় হয়। বাবুল তখন তাকে জাল টাকার ব্যবসায় যুক্ত হবার জন্য প্রলোভন দেখায়। অধিক লাভের আশায় বাবুলের হাত ধরে সাগর জাল টাকার ব্যবসায় জড়িয়ে পরে।
গ্রেফতারকৃত সাগর জানায়, প্রতি পিছ ১ হাজার টাকার জাল নোট ২৬০ টাকায় ক্রয় করে ৩’শ থেকে ৪’শ টাকায় বিক্রয় করা হয়।
গ্রেফতারকৃত অপর আসামি হাসান ও ইমন সাগরের পূর্ব পরিচিত। সাগরের মাধ্যমে তারা জাল টাকার ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তারা দুজনেই সাগরের কাছ থেকে জাল টাকা সংগ্রহ করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতো।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫