ঢাকা: ২০দলীয় জোটের চলমান অবরোধ কর্মসূচির ২৫তম দিনে রাজধানীর সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে প্রচুর সংখ্যক দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যেতে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে অবরোধের অন্য দিনের তুলনায় এ সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মতো।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানান, শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় অবরোধ থাকলেও রাস্তায় সহিংস ঘটনা কাম থাকে। তাই টার্মিনালগুলোতে মানুষের এত ভিড়।
শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, কিছুক্ষণ পর পরই রিকশা, সিএনজি ও বাসে করে প্রচুর সংখ্যক মানুষ টার্মিনাল এলাকায় আসছেন। অধিকাংশই ছিলেন বিভিন্ন রুটের যাত্রী। অন্যদিকে টার্মিনালগুলোর টিকেট কাউন্টারে টিকেট কাটার জন্য অনেককে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রী সেবা পরিবহনের (ঢাকা-নোয়াখালী) সুপারভাইজার মোহাম্মদ রনি বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধে রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর হয়, আগুন দেয়। তাই মানুষ ভয়ে ঢাকার বাইরে যেতে চায় না। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে ভালোই যাত্রী আসছে।
কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, অবরোধ তো চলছেই কিন্তু শুক্রবার রাস্তায় ঝামেলাটা কম হয়। তাই মানুষের ভিড়ও বেশি। সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মোট ৮টি গাড়ি টার্মিনাল ছেড়ে গেছে বলে তিনি জানান।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হলো নোয়াখালীগামী যাত্রী ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে। তিনি একজন সরকারি চাকরিজীবী।
ইয়াসমিন বাংলানিউজকে জানান, প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে তিনি গ্রামের বাড়ি যান। তবে অবরোধ ঘোষণার পর থেকে এখন পর্যন্ত যাওয়া হয়নি। শুক্রবার সহিংসতা কম হয় বলে তিনি আজ বাড়ি যাচ্ছেন। তাই অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই বের হয়েছেন।
চলবিল ট্রান্সপোর্টের (মহাখালী-ভৈরব) মহাখালী শাখার কাউন্টার মাস্টার মোহাম্মদ হাশেম বাংলানিউজকে বলেন, যেভাবে অবরোধ চলছে তাতে তাদের রাস্তায় বসা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এখন তাদের ব্যবসার মৌসুম কিন্তু যাত্রী নেই। শুক্রবার বলেই যাত্রী বাড়ছে।
হাশেম জানান, অবরোধের অন্য দিনে সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত মাত্র ৫ থেকে ৭টি গাড়ি ছেড়ে যায়। তবে আজ প্রায় ১৮ থেকে ২০টি গাড়ি টার্মিনাল ছেড়ে গেছে।
মহাখালী বাস টার্মিনালে কথা হলো ভৈরবের যাত্রী মোহাম্মদ এনামুলের সঙ্গে। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অবরোধে ঢাকার চেয়ে ঢাকার বাইরের অবস্থা খুব খারাপ থাকে। তাই ভয়ে ঢাকার বাইরে যান না। তবে শুক্রবার ঝামেলাটা কম হয়। তাই বাইরে যাওয়ার জন্য শুক্রবারের দিনটিকেই বেছে নিয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৫