জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা হয়ে থাকে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ২০১৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত এ ঋণের পরিমাণ ছিলো (২৪, ৩৮৭ দশমিক ৯) মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১ কোটি ৮৯ লাখ ৫৪২ দশমিক ৮ কোটি।
রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) দশম জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের ১০ কার্যদিবসে এ কে এম শাহজাহান কামালের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী জানান, বিগত অর্থবছরে (২০১৩-১৪) বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ২০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১,৫৭৪ দশমিক ২৭ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ঋণের আসল বাবদ পরিশোধ করা হয়েছে ১,০৮৮ দশমিক ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮, ৪৭৬ দশমিক ৭০ কোটি টাকা।
হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং ব্যবস্থায় ধর্মকে ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট’ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। এছাড়া চরমপন্থি কোনো গোষ্ঠীর ব্যাংকিং কার্যক্রমের বিষয়ে তথ্য পেলে ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ কর্তৃক এন্টি টেররিজম অ্যাক্ট-২০০৯ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক হতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সহায়তা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের আয়ের তথ্য নেই:
এ কে এম মাঈদুল ইসলামের অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকরা কত টাকা আয় করেন তার তথ্য নেই অর্থমন্ত্রণালয়ে। এ হিসাব অর্থমন্ত্রণালয়ে রাখারও সুযোগ নেই। তবে বিদেশি নাগরিকরা তাদের আয়ের ৭৫ ভাগ নিয়ে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫
** তারেক, মামুন ও সাঈদ এস্কান্দরের কাছে পাওনা ২৬২ কোটি
** অধিবেশন শুরু, চলছে মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর