ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

ঝিকরগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলির অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৫
ঝিকরগাছায় ইউপি চেয়ারম্যানকে গুলির অভিযোগ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

যশোরের ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা খোরশেদ আলমকে পুলিশ ধরে নিয়ে গুলি করেছে বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করে তার স্ত্রী তহমিনা খাতুন এ অভিযোগ করেন।


 
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ঝিকরগাছা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান খোরশেদ আলমের যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গাজীর দরগা এলাকায় একটি ধান-চালের চাতাল রয়েছে।

শনিবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ওই এলাকায় একটি ট্রাক ও প্রাইভেটকারে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকে কেন্দ্র করে পুলিশ অভিযানে যায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী খোরশেদ আলমের চাতাল ও চালের গোডাউনে আগুন ধরিয়ে দেন।

ভুক্তভোগীর দাবি, আগুনে তার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার (০১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে খোরশেদ আলম পুড়ে যাওয়া চাতাল দেখতে যান। এ সময় সেখানে উপস্থিত যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর শুনে কোতোয়ালি মডেল থানায় যান। এসময় থানায় দায়িত্বরত কর্মকর্তা তাদের জানায়, খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কিন্তু আধাঘণ্টা পর খোরশেদ আলমকে থানায় না পেয়ে স্বজনরা আদালতে ছুটে যান, সেখানেও না পেয়ে যান র্যাব-৬ (যশোর) ক্যাম্প ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে। কিন্তু কোথাও খোঁজ পাওয়া যায়নি খোরশেদ আলমের। একপর্যায়ে বিকেলে লোক মারফত জানতে পারেন পায়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খোরশেদ আলমকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মীর্জা আক্তারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, খোরশেদ আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে কি কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইনামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, খোরশেদ আলম গণপিটুনিতে আহত হয়েছেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

এদিকে, বিএনপি নেতা ও পরপর তিনবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানকে হাসপাতালে ভর্তি এবং পরিবারের দাবি করা গুলির সংবাদ পেয়ে যশোরে কর্মরত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে যান হাসপাতালে। তবে পুলিশ আগে থেকেই খোরশেদ আলমের রুমে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। ফলে বিষয়টি নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।