ভোলা: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় মেঘনা নদীর সোনার চর, বয়ার চর ও বাতির খাল এলাকা থেকে নিখোঁজ বাকি তিন জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে ২৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনেরই মৃতদেহ পাওয়া গেলো।
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় জেলেরা মৃতদেহগুলো উদ্ধার করে।
তারা হলেন-উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামূলা গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে শরীফ হোসেন (৪০), একই ইউনিয়নের হাজীকান্দি গ্রামের নাছির মাঝির ছেলে সিরাজ (২০) ও একই বাড়ির শাজাহান পণ্ডিতের ছেলে মো. রাজিব (২২)।
২৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাতে মেঘনার সোমনার চর এলাকায় একদল জেলে ট্রলার নিয়ে মাছ শিকার করতে যান। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি ডুবে গেলে নিখোঁজ হন ছয় জেলে। দুর্ঘটনার একদিন পর ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেদের চেষ্টায় সোমবার হৃদয় (১৭) নামে এক জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয় জেলেরা। এরপর মঙ্গলবার আলাউদ্দিন ও হাসানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে বুধবার সিরাজ, রাজিব, শরীফের মৃতদেহ উদ্ধার করা হলো।
এরা সবাই মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ জেলে বলে নিশ্চিত হওয়ায় গেছে।
স্থানীয়রা জানান, মেঘনার সোমনার চর এলাকায় ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার দুর্ঘটনায় নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার বুধবার ষষ্ঠ দিনের মত উদ্ধার কাজ শরু করে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় জেলেরা। অনেক খোঁজাখুঁজির করে মেঘনার সোনার চর, বয়ার চর ও বাতির খাল এলাকা থেকে পৃথক তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোস্টগার্ডের অপারেশন অফিসার লে. মো. খালিদ ও তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারের বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহগুলো থানা হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে, নিহতদের পরিবারের সদস্যরা এলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে গত পাঁচদিনে তিনটি ও বুধবার আরো তিনটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তিনি আরো জানান, নিহতদের দাফন বাবদ তাদের পরিবারকে তাৎক্ষণাত পাঁচ হাজার টাকা ও পরে আরো ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। খুব দ্রুত এসব টাকা বিতরণের কার্যক্রম শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫