ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ ও হরতালে সহিংসতা ও পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে দু’দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শ্রমিক-কর্মচারী-পেশাজীবী-মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে একটা থেকে একটা পর্যন্ত দেশের সব পেশাজীবীরা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন।
শনিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ভবন অডিটোরিয়ামে সমন্বয় পরিষদের জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে গণআন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া এগারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স রুমে সমন্বয় পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন পরিষদের আহবায়ক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
সংবাদ সম্মেলনে নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট গত এক মাস ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। পেশাজীবীসহ বাংলাদেশের সকলকে নিয়ে এটা মোকাবেলা করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনের পর প্রেসক্লাবের সামনে দেশের চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধনে শরিক হন মন্ত্রী। এ সময় তিনি পরিষদ ঘোষিত দুই দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সকল পেশাজীবীদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করার দায় স্বীকার করে এ সময় তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে নাশকতা ও পেট্রোল বোমা হামলা চালানোর কারণে তার (খালেদা জিয়া) কার্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর উদার মনোভাবের কারণে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়।
শাজাহান খান আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার নাতনিদের পরীক্ষা দিতে মালয়েশিয়ায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু হরতাল-অবরোধের নামে নাশকতা চালিয়ে ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫