ঢাকা: আনন্দ শিপইয়ার্ডের প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) জেনারেল ম্যানেজারসহ (জিএম) আট কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এর মধ্যে বিডিবিএল থেকে প্রায় ৯০ কোটি টাকা ঋণ জালিয়াতি করে আনন্দ শিপইয়ার্ড আত্মসাৎ করেছে বলে দুদকের কাছে অভিযোগ রয়েছে।
এমন অভিযোগে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে দুদক।
দুদকের জ্যেষ্ঠ উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। ধারাবাহিকভাবে বিকেল পর্যন্ত এ জিজ্ঞাসাবাদ চলবে বলে জানা গেছে।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- বিডিবিএল’র প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চের জিএম নুরুর রহমান কাদরী, ফরিদপুর শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার (এসপিও) মো. ইউনুস আলী, প্রিন্সিপাল ব্রাঞ্চের এসপিও মো. ইমামুর রশিদ, মতিঝিল ব্রাঞ্চের এসপিও দীনেশ চন্দ্র সাহা, হেড অফিসের এজিএম (এসএমই ডিপার্টমেন্ট) ইঞ্জিনিয়ার এস এম সিরাজুল ইসলাম, হেড অফিসের সাবেক এসপিও (ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং ডিপার্টমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম, আগ্রাবাদ ব্রাঞ্চের ডিজিএম তপন কুমার রায় ও ব্যাংকের সাবেক কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কনসালট্যান্ট মাহে আলম।
দুদক সূত্র জানায়, জাহাজ রফতানির নামে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে আনন্দ শিপইয়ার্ড দেশের ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। জাহাজ নির্মাণের পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও পর্যাপ্ত জামানত ছাড়া এসব ঋণ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫