বরিশাল: বরিশালে এলজিইডির আট গ্রুপের ১০ কোটি টাকার দরপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও র্যাবের লাঠিচার্জে চারজন আহত হন।
বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর বান্দরোডের এলজিইডি ভবনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় বানারীপাড়া, উজিরপুরে তিন গ্রুপ করে ছয়টি ও বাবুগঞ্জের দুই গ্রুপসহ মোট আট গ্রুপের গ্রামীণ রাস্তাঘাট ও কালভার্ট নির্মাণ কাজের দরপত্র জমাদানের শেষ দিন ছিল বুধবার।
৩ ফেব্রুয়ারি দরপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল। আটটি গ্রুপের কাজের জন্য ২৭৫টি দরপত্র বিক্রি হয়। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল বুধবার দুপুর ১টা।
এসময়ে দরপত্র জমা দিতে আসা সাধারণ ঠিকাদারদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে ক্ষমতাসীন দলের ঊর্ধ্বতন নেতারা এলজিইডির কাজগুলো বণ্টন করে দিয়েছেন। এ কারণে বুধবার সকালে এলজিইডি ভবনে অবস্থান নেয় দলের জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এদিকে, অভিযোগ রয়েছে, দুপুরে দরপত্র জমা দিতে আসেন মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহীন শিকদার, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম মিরাজ ও ঠিকাদার জিয়াউর রহমান বিপ্লব।
এ সময় তাদের দরপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায় মহানগর ছাত্রলীগ নেতারা। পরে, ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমানসহ ছাত্রলীগের কিছু কর্মী এলজিইডি ভবন থেকে যুবলীগ নেতা শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা মিরাজকে বের করে দেন। তবে, এ সময় এলজিইডি ভবনে ঠিকাদার বিপ্লবকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
ঘটনার সময় উপস্থিত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখওয়াত হোসেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বাধা দিলে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে এলজিইডি ভবনের সামনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা এলজিইডি ভবনে এসে লাঠিচার্জ করে বিবদমান নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে অবরুদ্ধ বিপ্লবকে উদ্ধার করে।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমীন খান বলেন, দরপত্র জমা নিয়ে বিবদমান কয়েকটি পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। শুনেছি অনেক ঠিকাদারকে দরপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ঠিকাদাররা লিখিত অভিযোগ দিলেই এ দরপত্র বাতিল করে পুনরায় আহ্বান করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫