গাজীপুর: একটি চিঠি খোঁজাকে কেন্দ্র করে সহকর্মী পুলিশ কমকর্তার কক্ষে আটকে রেখে এক কনস্টেবলকে পিটিয়েছেন গাজীপুরের এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি)। ঘটনার তিন ঘণ্টার মাথায় অভিযুক্ত এএসপিকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করে নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় গাজীপুর পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ের ওই ঘটনার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে অভিযুক্ত এএসপিকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
রাত পৌনে ৯টায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. হারুনর রশিদ বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
পুলিশের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, পুলিশ লাইনে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ইনসার্ভিস ট্রেনিং) মো. মিজানুর রহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি খুঁজতে বিকেলে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসেন। একসময় পুলিশ সুপারের দফতরে চিঠিপত্রের দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল রেজুয়ান মিয়াকে ডেকে পাঠান। চিঠির বিষয়ে খোঁজ নেওয়ার এক পর্যায়ে এএসপি কনস্টেবল রেজুয়ানকে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে দরজা বন্ধ করে কনস্টেবল রেজুয়ানকে অমানবিকভাবে পেটাতে থাকেন এএসপি। এতে এসপি কার্যালয়ের কর্মীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন।
ভেতর থেকে দরজা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসপি কার্যালয়ের পুলিশ কর্মকর্তারা ওই কক্ষের সামনে ভিড় জমান। এসময় বন্ধ কক্ষ থেকে কনস্টেবলের ওপর কিল ঘুষি ও লাথির শব্দ আসতে থাকলে এবং তার আর্তচিৎকারে আশপাশে থাকা পুলিশের সদস্যরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। এক পর্যায়ে এএসপি দরজা খুলতে বাধ্য হন। এরপর এসপি কার্যালয়ের সহকর্মীরা আহত কনস্টেবল রেজুয়ানকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান।
রেজুয়ান এখন পুলিশ অফিসে কর্মরত আছেন। এই ঘটনায় গাজীপুর পুলিশে ওই এসপির বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে এএসপি মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫