ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বোমা নিক্ষেপকারীদের গুলির প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৫
বোমা নিক্ষেপকারীদের গুলির প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম

ঢাকা: গাড়িতে বোমা মারতে দেখলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি করার পন্থা না নিলে আমাদের জনজীবন এবং অর্থনীতি সচল রাখা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

চলমান হরতাল-অবরোধে কাঁচা মালবাহী ট্রাকে অস্ত্রধারী পুলিশ প্রহরায় যান চলাচলের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।



বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের আয়োজনে পেশাজীবী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

চলমান আন্দোলন দমন করতে চারটি প্রস্তাব দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রতিদিন উত্তরবঙ্গ এবং চট্রগ্রাম থেকে ৫০টি করে কাঁচামালবাহী ট্রাক রাজধানীতে আনা হোক। এ ট্রাকের সারির সামনে এবং পেছনে বিজিবি-পুলিশ থাকবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে।

তিনি বলেন, দরকার হলে প্রত্যেকটি গাড়িতে একজন করে অস্ত্রধারী পুলিশ থাকবে। বোমা হামলাকারী দেখলে সঙ্গে সঙ্গে গুলি করবে।

এছাড়া অগ্নিদগ্ধ হয়ে নিহত বা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের আর্থিক সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী একটি ত্রাণ তহবিল করবেন। তাতে প্রত্যেক সংসদ সদস্য দুই লাখ করে টাকা অনুদান দেবেন।

তিনি বলেন, আমার কাছে চাইলে আমি এ ফান্ডে ৫ লাখ টাকা দেবো। চলমান নাশকতা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হবে যা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরা হবে। দেশের জনগণকে সচেতন করতে ক্ষতিগ্রস্তদের হাজির করে মহাসমাবেশ করারও
প্রস্তাব করেন তিনি।

বক্তব্যের শুরুতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি সুস্থ আছেন? আন্দোলনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন, তাদেরকে কি খালেদা জিয়া দেখছেন?

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া আন্দোলন করছেন তার ছেলেকে ক্ষমতার মসনদে বসানোর জন্য। সমস্ত আন্দোলন হচ্ছে লন্ডন থেকে। তার আরেক ছেলে আরাফাত রহমান কোকো একজন বিশিষ্ট চোর ছিলেন। তিনি দেশের টাকা চুরি করে বিদেশে পাঠিয়েছেন। সেই চুরি করা টাকাগুলো আমি দেশে ফেরত নিয়ে এসেছি।

তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, খালেদা জিয়া দেশের মানুষের জন্য নয়, তার ছেলের জন্য আন্দোলন করছেন। খালেদা জিয়া হিটলারের মতো চলন্ত গ্যাস চেম্বার করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারী, পুড়িয়ে নিরীহ মানুষ হত্যাকারী ও নির্দেশনা প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এবং দেশের উন্নয়ন-অর্থনীতি ধ্বংসকারী হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সাবেক বিচারপতি এ এফ এম মেজবা উদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাসেত মজুমদার, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন, বাংলাদেশ শিক্ষক ফ্রন্টের সভাপতি অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব ড. কামরুল হাসান খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।