জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: বর্তমানে দেশে নিরক্ষরতার হার ৪০ দশমিক ১৪ শতাংশ- এমন তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দশম সংসদের পঞ্চম অধিবেশনে সংসদ সদস্য সফুরা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের উত্তরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভৌত সুবিধা বৃদ্ধি, শ্রেণি শিখন কাজ আকর্ষণীয় করা, হোম ভিজিট, মা সমাবেশ, উঠান বৈঠক, প্রাথমিক শিক্ষার জন্য উপবৃত্তি প্রকল্প, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম প্রভৃতি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এখনও এধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
‘রিচিং আউট অব স্কুল চিলড্রেন প্রকেল্পর আওতায় দেশের অনুন্নত জনপদ এবং ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ৯০ টি উপজেলায় ৬৮৪ দশমিক ৩২কোটি
টাকা ব্যয়ে আনন্দ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সী ৭ লাখ ৫০ হাজার হতদরিদ্র ও ঝরে পড়া শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। ’—জানান মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি বলেন, শহরের কর্মজীবী শিশুদের জন্য মৌলিক শিক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ৬টি বিভাগীয় শহরের ১০ থেকে ১৪ বয়সী ১ লাখ ৬৬ হাজার ১৫০ জন শিশু মানসম্মত ও জীবন দক্ষতা ভিত্তিক মৌলিক শিক্ষা পাচ্ছে।
ইতোমধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার ২১২ জন শিশু সাফল্যের মৌলিক শিক্ষা কোর্স সম্পন্ন করেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এদের মধ্য থেকে ১৩ বছরের বেশি বয়সী ১৮ হাজার ৫০০ জন কিশোর-কিশোরীকে জীবিকায়ন দক্ষতার ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা দেওয়ার লক্ষ্যে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে দেড় হাজার বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ৯৮১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজ চলছে ২৬৯ বিদ্যালয়ের।
‘বর্তমান সরকারের ২০০৯-২০১৪ মেয়াদে নতুন সৃষ্ট পদসহ রাজস্ব খাতের বিভিন্ন শূন্য পদের বিপরীতে সর্বমোট ৯৪ হাজার ২২৬জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৬৮ হাজার ৫০২ জন নারী এবং ২৫ হাজার ৭২৪ জন পুরুষ রয়েছেন। এআড়া বিভিন্ন
পর্যায়ে ২ হাজার ২৭৩ জন কর্মকর্তা/কর্মচারীও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ’—মমতাজ বেগমের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী।
মো. সোহরাব উদ্দিনের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, দেশে ১২ জেলায় পিটিআই নেই। তবে পিটিআই স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় হোস্টেল সুবিধাসহ ১২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫