টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদকের বাসা থেকে যৌনবর্ধক ৫০ হাজার ক্যাপসুলসহ বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-১২) সদস্যরা।
এ সময় ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় ফিরোজ খান নামে এক ব্যক্তিকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রেজার নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা শহরের বড় পুকুর পাড় বাসায় অভিযান চালিয়ে এসব নকল ওষুধ উদ্ধার করে।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ এর কোম্পানি কমান্ডার মহিউদ্দিন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, টাঙ্গাইল জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাসের বাসায় তার বোনজামাই ফিরোজ খান দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ যৌনবর্ধক ওষুধ তৈরি ও বিক্রি করে আসছেন।
ওই বাসার দ্বিতীয় তলায় একটি টয়লেটসহ একটি রুমে মিনি কারখানা বানিয়ে ওষুধ তৈরি করেন তিনি। টয়লেটে মিকচার মেশিন বসিয়ে বিভিন্ন প্রকার ট্যাবলেট, ক্যাপসুল তৈরি করা হতো। গোপন এ সংবাদ পেয়ে র্যাব অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল ওষুধ উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ওষুধের মধ্যে রয়েছে আমলকী প্লাস, লাল ক্যাপসুল, জিংসান ক্যাপসুল, এন্টোস প্লাস, স্যালাইন ও ইউনিক লাহাম। এছাড়া, বাসা থেকে ছাইসহ ওষুধ তৈরির বিভিন্ন কাঁচামাল উদ্ধার করা হয়।
পরে, অবৈধ এ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ফিরোজ খানকে সাত দিনের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া ওষুধগুলো ধ্বংস করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০১৫