রাজশাহী: রাজশাহীর জেলার ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অফিস দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এক শ্রেণির ঘুষখোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৌরাত্মে গোদাগাড়ী উপজেলার দরিদ্র কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
শনিবার বেলা দুপুরে রাজশাহী প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন গোদাগাড়ী এলাকার ভুক্তভোগী কৃষকরা। ওইসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের নওসারা গ্রামের রেজাউল হকের আপত্তি কেস নং-৩৬৪, আপিল কেস নং-৩৯৩৩ এর শুনানির দিন ধার্য ছিলো গত ০৫/০৬/২০১২ইং তারিখে। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও শুনানি না হওয়ায় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবরে আবেদন করা হয়। পরে ০৪/১১/২০১৪ইং তারিখে সেটেলমেন্ট অপারেশনের কর্মচারী ওয়াহাব রেজাউল হকের বাড়িতে গিয়ে জানান আবেদন ফর্মটি অফিস থেকে হারিয়ে গেছে। এছাড়া অফিসার মোহবুল আলমের কথা বলে দরখাস্ত ফর্মে পুনরায় রেজাউল হকের স্বাক্ষর নেন তিনি।
কিন্তু এরপরও আপিল কেস দায়ের না করে উল্টো ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা প্রতিপক্ষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ভুল তথ্য প্রদান করে। যা সম্পূর্ণ ভুয়া ও ভিত্তিহীন। এ পরিস্থিতিতে আবারো ১৬/১১/১৪ইং তারিখে মহাপরিচালক বরাবর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন করেন রেজাউল হক।
এদিকে উপজেলার খেতুর গ্রামের আবুল কালামের জমির নামে ভুয়া রেকর্ড তৈরি দেয় জেলা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা। অন্যদিকে চিহ্নিত ভূমি দস্যুর নামে জালিয়াতির মাধ্যমে খারিজ করা হয় মরিয়ম কিস্কুর পৈত্রিক সম্পত্তি।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষকরা অবিলম্বে এসব অপকর্মের অবসান দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কৃষকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম, রেজাউল হক ও তুবিয়াস হেমরমসহ অন্যান্য কৃষকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৫