ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

২৫ লাখের মাইলফলক, শুভেচ্ছা বন্ধুপাঠকদের

মাহমুদ মেনন, হেড অব নিউজ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৫
২৫ লাখের মাইলফলক, শুভেচ্ছা বন্ধুপাঠকদের

বাংলানিউজের নিয়মিত পাঠক দেড়কোটি। চব্বিশ ঘণ্টায় ঘুরে ফিরে তারা ঢুঁ মারেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ।

এর প্রতিটি পাঠকই বাংলানিউজের কাছে সবচেয়ে প্রিয়, সবচেয়ে গুরুত্বের। এই পাঠকের জন্যই এতসব কর্মযজ্ঞ। এত ঝুঁকির মাঝে গিয়ে খবর তুলে আনা, ঘটনা ঘটার সাথে সাথে তা প্রকাশের তাগিদ, নির্ভুল সংবাদ পরিবেশনা, সবার আগে সব সংবাদ প্রকাশের অঙ্গীকার, আর সংবাদ ও বিনোদনে সারাক্ষণ পাঠককে মাতিয়ে রাখার প্রচেষ্টা। দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা সচল থেকে বিশ্বের সব দেশে, সব অঞ্চলে থাকা পাঠকের চাহিদা পূরণ করে চলাই ব্রত।

পাঠকদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বন্ধু-পাঠক। এরা নিজেরা পড়েন আর নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দেয়ালে পোস্ট করে বাংলানিউজের খবর ছড়িয়ে দেন আরও অনেকের কাছে। এই বন্ধুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। প্রতি সপ্তাহে গড়ে ১০ হাজারের ওপর নতুন বন্ধু সৃষ্টি হচ্ছে কেবল ফেসবুকেই। এভাবে বেড়ে বেড়ে ফেসবুক-বন্ধুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ লাখ। রোববারই এই মাইলফলক রচিত হলো। বাংলানিউজের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন এই বন্ধুদের প্রতি।

২৫ লাখ ফেবু-বন্ধুর প্রসঙ্গে নির্দ্বিধায় বলা যায়, তারাই বাংলানিউজের সবচেয়ে সক্রিয় পাঠক। আর এরা খাঁটি বন্ধু। এই কারণে যে, বাংলাদেশের অন্য কিছু সংবাদমাধ্যম তাদের ফেসবুক বন্ধু সৃষ্টি করেছে অর্থলগ্নি করে। ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্যান যুগিয়েছে। কিন্তু বাংলানিউজের পাঠকরা নিজেদের আগ্রহেই বন্ধু হয়েছেন। আর তারাই বাড়িয়ে চলেছেন নতুন নতুন পাঠক।
আড়াই মিলিয়ন বন্ধুপাঠক হয়তো ডেকে আনছেন আরও কয়েকগুণ পাঠককে যারা ফেসবুকে তাদের বন্ধু।

টুইটারেও বাড়ছে এই সংখ্যা। এ মূহূর্তে যা ৪০ হাজারের কাছাকাছি।

কার্যকর যোগাযোগের অন্যতম দিক হচ্ছে মিথষ্ক্রিয়া (ইন্টারঅ্যাকশন)। বাংলানিউজের খবরে এই ফেসবুক, টুইটারের বন্ধুদের ইন্টারঅ্যাকশনটাই সবচেয়ে বেশি। কেবল যে লাইক দিচ্ছেন তাই নয়, কেউ কেউ তাদের দেয়ালে বাংলানিউজের খবর শেয়ার করছেন। চুম্বক অংশ কপি করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন, বাংলানিউজে প্রকাশিত ছবি পোস্ট করে মন্তব্য দিয়ে প্রকাশ করছেন হয় উচ্ছ্বাস, ভালোলাগার কথা, নয়তো ক্ষোভ কিংবা নিন্দা। খবর ভেদে মিলছে আরও নানা অভিব্যক্তি।

খবর যেখানে হত্যার, সংঘাতের, সহিংসতার, অপরাধের, আবার উন্নয়নের, সেরা অর্জনের তখন তার জন্য যে অভিব্যক্তিও অমন নানামুখিই হবে। তবে একটি সংবাদমাধ্যমের জন্য নিজেকে আরও কার্যকর সংবাদ সেবার দিকে নিয়ে যাওয়ার এটাই শ্রেষ্ঠ পথ।

প্রতিটি মন্তব্যকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে তার ভিত্তিতেই পরবর্তী সংবাদ প্রকাশের উদ্যোগ নেয় বাংলানিউজ। প্রায়শঃই পাঠকের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তৈরি হয় নতুন সংবাদ, সংশোধনী আসে প্রকাশিত সংবাদে, নতুন তথ্য যোগ হয়, বাদ দেওয়া হয় কোনও ভুল বা অপ্রয়োজনীয় অংশ। আর এই বন্ধুরাও দিচ্ছেন কোনো ঘটনার তথ্য। যার ওপর কাজ করে দ্রুতই খবর আকারে প্রকাশ করছে বাংলানিউজ।

পাঠকই এখানে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, প্রধান নির্দেশক, তথ্যের অন্যতম উৎস।

প্রিয় পাঠককে এখানে আরেকটি হিসেব জানিয়ে দেওয়া যায়। ফেসবুক থেকে যে ২৫ লাখ পাঠক আসছেন তারা বাংলানিউজের মোট পাঠকের প্রায় ১৬ শতাংশ। গুগল থেকে যারা বাংলানিউজে আসেন তাদের সংখ্যা ১৩ শতাংশের কিছু বেশি। বাকিদের মধ্যে ১২ শতাংশ বাংলানিউজে আসেন বাংলাদেশেরই অপর দুটি সংবাদমাধ্যম থেকে। বাকি ৪৯ শতাংশ পাঠক সরাসরি বাংলানিউজ ব্রাউজ করেন। গুরুত্বের কারণে বাংলানিউজকে অনেকেই করে নিয়েছেন তাদের হোমপেজ। দেশের সবচেয়ে দ্রুত গতির অগ্রসরমান এই অনলাইন নিউজ পোর্টালকে অনেকেই বুকমার্ক করেছেন।

গুগল, ফেসবুক, অ্যামাজন, ইউটিউব, ইয়াহুর মতো জায়ান্টদেরসহ বিশ্বের ৪ হাজার ৭৪৪টি অনলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। এসব সাইট থেকেই আসছেন ‍বাংলানিউজের পাঠকরা।

গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বাঙালি, বাংলাদেশি। তাদের কাছে সর্বক্ষণের প্রিয় সংবাদমাধ্যম বাংলানিউজ। সূর্যকে ঘিরে পৃথিবীর সদা আবর্তনকে মাথায় রেখে বাংলানিউজ টানা ২৪ ঘণ্টার মিডিয়া। বাংলানিউজ দেশের একমাত্র সংবাদমাধ্যম যা ২৪ ঘণ্টাই আপডেট দেয়। ফলে দিন কিংবা রাতের হিসেব নিকেশে কেউই সবশেষ আপডেটটি পাওয়া থেকে বঞ্চিত নয়। একই পুরনো খবরের কচকচানি নয়। সব সময়ই তাজা খবর। অনেক সংবাদমাধ্যম যখনে মধ্যরাতে বন্ধ হয়ে যায়, থাকেনা একটিও নতুন খবর তখন বাংলানিউজ জেগে থাকে। অবিরাম দিয়ে যায় নতুন নতুন ঘটনার খবর।

বিশ্বের যেসব স্থানে রয়েছে বাংলাদেশির আধিক্য সেসব স্থানের, দেশের বা অঞ্চলের জন্য বাংলানিউজ ভিন্ন আয়োজনে প্রকাশ করছে তাদের কমিউনিটির খবর। তাদের জন্য খোলা হচ্ছে বিশেষ পাতা।

সব মিলিয়ে বাংলানিউজ একটি গ্লোবাল সংবাদমাধ্যম। এডিটর-ইন চিফ আলমগীর হোসেনের চব্বিশ ঘণ্টার মনিটরিং, সার্বক্ষণিক পরামর্শ-নির্দেশনাই দুই শতাধিক নিরলস কর্মীর এই এগিয়ে চলার শক্তি।  
 
খবর জানার যাদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা, যারা নিজেদের সারাক্ষণ আপডেটেড রাখতে চান, আর যারা সময়ের সঙ্গে নিজেকে উপযোগী রাখতে চান তাদের জন্য বাংলানিউজই শ্রেষ্ঠ বিকল্প।  

২৫ লাখের মাইলফলকে পৌঁছে যাওয়া বাংলানিউজের ফেসবুক বন্ধুদের আরও একরাশ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।