নারায়ণগঞ্জ: ‘বাবা তোমার চোখের পানি আমি সইতে পারিনি’ এমন আবেগঘন কথায় বাবাকে চিঠি লিখে আত্মহত্যা করেছে নবম শ্রেণির ছাত্রী সানজিদা আক্তার (১৪)।
রোববার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলার বন্দর কোর্টপাড়ার বাড়ি থেকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত সানজিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জেলার কোর্টপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া অটোরিকশা চালক আসলাম মিয়ার মেয়ে সানজিদা। সে নবীগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থী ছিল। পরিবারের তিন বোনের মধ্যে সানজিদা ছিল সবার বড়। তার মা মাসুদা বেগম জর্ডান প্রবাসী।
স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল ৭টার দিকে তার বাবা অটোরিকশা চালাতে যান। অন্য দুই বোন সুরাইয়া ও তানজিলা সময় মতো স্কুলে চলে গেলেও সানজিদা সবার অজান্তে ঘরের মধ্যে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্নহত্যা করে।
পরে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে সানজিদার ফুফু ঝিনুক ও চাচি আমেনাসহ অন্যরা মিলে দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে তার মৃতদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনায় পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
বাবাকে লেখা সানজিদার চিঠির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বাবার চোখের পানি ঝরতে দেখে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে।
ওই চিঠিতে শুভ ও মিনহাজ নামের দুই ছেলেকে শয়তান ও মিথ্যাবাদী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। চিঠিতে একটি মোবাইল নম্বরও লেখা রয়েছে।
পুলিশ সেই মোবাইল নম্বরকে ভিত্তি করে শুভ ও মিনহাজ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চালাচ্ছে।
বন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আইয়ুব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৫