ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মাঘ ১৪৩১, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

গণজাগরণের আল্পনায় ‘পরীক্ষা দিতে চাই’

তাবারুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫
গণজাগরণের আল্পনায় ‘পরীক্ষা দিতে চাই’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা হামলা, অগ্নিসংযোগসহ রাজনৈতিক সহিংসতা ও জ্বালাও-পোড়াও বন্ধের দাবি দেশের ‍আপামর জনতার। আর নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারার সুযোগ দাবি দেশের ১৫ লাখ এসএসসি পরীক্ষার্থীর।

কোমলমতি শিক্ষার্থী আর দেশের আপামর জনতার এসব দাবি প্রতিধ্বনিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিচিত্রিত হচ্ছে রাজধানীর শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে।

বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে দেশব্যাপী ‘সহিংসতার আগুন’, ‘পেট্রোল বোমা’র আঘাতে মানুষের মৃত্যু, ‘আমরা হত্যা চাই না’ শীর্ষক আল্পনায় কোটি মানুষের দাবি উত্থাপন করা হয়, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ‘পরীক্ষা দিতে চাই’ শীর্ষক আকুলতাও তুলে ধরা হয় আল্পনায়।

বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধে লাখ লাখ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেমন অনিশ্চয়তার গহ্বরে পড়েছে, তেমনি বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে অসংখ্য মানুষ।
 
এ ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধেই সকাল থেকে শাহবাগে অবস্থান শুরু করেছে গণজাগরণ মঞ্চ। এই অবস্থান কর্মসূচি লাগাতার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার।
 
কর্মসূচিতে প্রজন্ম চত্বরের একপাশে বাংলাদেশের মানচিত্রের আল্পনা ও অন্যপাশে ফুল ও মোমবাতি দিয়ে বাংলাদেশের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া, মহান জাতীয় পতাকাকে ঘিরে মোমের আলো জ্বালিয়েও রাখা হয়েছে সেখানে।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্লোগানে স্লোগানে দেশব্যাপী পেট্রোল বোমা ও ককটেল হামলার প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিও জানানো হচ্ছে।

২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফাঁসির দাবিতে আন্দোলনে নামে গণজাগরণ মঞ্চ। ঠিক দুই বছর পর দেশব্যাপী পেট্রোল বোমা হামলা ও ককটেলের আঘাতে মানুষের মৃত্যু ও দগ্ধ করার প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চ আবারও সেই একই স্থানে টানা অবস্থান করেছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫

** ‘যে হাত মানুষ মারে, সে হাত ভেঙে দাও’

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।