ঢাকা: দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা অথবা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করতে বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দুষ্কৃতিকারী, সন্ত্রাসী ব্যক্তি-সংগঠন যানবাহনে পেট্রোল-অকটেন-গান পাউডার প্রভৃতি দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করছে।
এতে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে এবং জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, যা সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ অনুসারে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এছাড়াও এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অর্থায়ন, প্রচার, উসকানি দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে, যা সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনফরশেন ডিপার্টমেন্টের (পিআইডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে আইনের কয়েকটি ধারা তুলে ধরা হয়।
সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ অনুসারে:
ক) কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ বা কোনো অস্ত্র সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহার করলে বা এ উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখলে এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (উ)]।
খ) কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করলে বা চেষ্টা করলে এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (অ)]।
গ) কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্য পদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করার ষড়যন্ত্র বা সহায়তা বা প্ররোচিত করলে এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৬ (২) (আ)]।
ঘ) কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন এমন সন্ত্রাসী কাজে আর্থিকভাবে সহায়তা করলে এর শাস্তি ২০ বছরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-৭ (৩) (৪)]।
ঙ) কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন পেট্রোলবোমা বহনকারী বা প্রস্তুতকারী বা প্রয়োগকারী কোনো অপরাধীকে আশ্রয় দিলে এর শাস্তি ৫ বছরের কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড [ধারা-১৪ (১) (ক)]।
চ) পেট্রোলবোমা বা কোনো দাহ্য পদার্থ দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগকারী কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উসকানিমূলক সহায়তা প্রদানের নিমিত্ত যদি কোনো ইলেক্ট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রচার করেন তাহলে এর শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তদুপরি অর্থদণ্ড ([ধারা-১৩]।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫