ঢাকা: যেখানেই পেট্রোল-বোমা হামলাসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তথ্য পাওয়া যাবে, সেখানেই কাঠোর অ্যাকশনে যাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড-পরবর্তীও এ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলানিউজকে বলেন, গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, যেখানেই নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানেই আমরা আক্রমণ চালাবো। যেখানে গাড়ি পোড়াবে, সেই এলাকায় সেখানেই কঠোর অভিযান পরিচালিত হবে।
অন্যদিকে, এ সব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থাও নেবে সরকার। সম্প্রতি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের কঠোরতা তুলে ধরে সংবাদমাধ্যমে গুরুত্বের সঙ্গে তা প্রচারের আহ্বান জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, বিভিন্ন বৈঠকে পুলিশ ছাড়াও বিজিবি, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সব পর্যায়ে পেট্রোল-বোমা হামলার সম্ভাব্য জায়গায় কঠোর অভিযান চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জঙ্গি অর্থায়ন সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের বৈঠকেও গোয়েন্দাদের তথ্য অনুযায়ী, কঠোর অভিযান পরিচালনার নির্দেশনা দেওয়া হয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে সরকারের তথ্য বিবরণীতে ২০০৯ সালের সন্ত্রাস বিরোধী আইনের কঠোরতা তুলে ধরে মিডিয়ায় প্রচারের আহ্বান জানানো হয়।
ওই আহ্বানে বলা হয়, দেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বা সার্বভৌমত্ব বিপন্ন এবং জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কতিপয় দৃষ্কৃতিকারী/সন্ত্রাসী ব্যক্তি/সংগঠন যানবাহনে পেট্রোল/অকটেন/গান-পাউডার ইত্যাদি দাহ্য-পদার্থ নিক্ষেপের মাধ্যমে জানমালের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে, যা সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ অনুসারে কঠোর শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে কতিপয় ব্যক্তি ও সংগঠন প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অর্থায়ন, প্রচার ও উস্কানি দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে সহযোগিতা করছেন বলেও উল্লেখ করা হয় সরকারি তথ্য বিবরণীতে। এই কার্যক্রম সন্ত্রাস বিরোধী আইনে কাঠোর শাস্তিযোগ অপরাধ।
কোনো ব্যক্তি পেট্রোল বা অন্য কোনো দাহ্যপদার্থ ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তিকে পুড়িয়ে হত্যা অথবা গুরুতর জখম করলে বা চেষ্টা করলে তার মৃত্যুদণ্ড শাস্তি উল্লেখ করা হয় তথ্য বিবরণীতে।
পেট্রোল-বোমা বা কোনো দাহ্য-পদার্থ দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা বা যানবাহনে অগ্নিসংযোগকারী কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রমে উস্কানিমূলক সহায়তা দিতে যদি কোনো ইলেক্ট্রনিক বা প্রিন্ট মিডিয়ায় তা প্রচার করা হয়, তাহলেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিষয়ে সচেতন করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫