যশোর: যশোরে পুলিশ হেফাজত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলাসহ একাধিক মামলার দুই আসামি পালিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট পাবলিক কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে একজন সহকারী উপ পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে।
যশোরের পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, দায়িত্ব অবহেলার জন্য তিন পুলিশ সদস্যকে লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তারা আসামি হাজির না করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০২ সালের সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রীর গাড়িবহরে হামলা মামলাসহ একধিক মামলার আসামি ও কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ এবং সাতক্ষীরা জেলা সদরের হত্যা-খুনসহ একাধিক মামলার আসামি শিবির ক্যাডার শহিদুল ইসলামকে বুধবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গ্রেফতার করে শার্শা থানা পুলিশ।
পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার শার্শা থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) সোমেন এবং কনস্টেবল মাহমুদুর রহমান ও রবীন্দ্রনাথ মিলে একটি থ্রি-হুইলারে করে দুই আসামিকে যশোর আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকায় পৌঁছালে দুই আসামি পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে দৌড়ে পালায়। এ সময় পুলিশ আট রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছে বলে দাবি করেছে। তবে আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
পলাতক আসামিরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত নূর আলী সানার ছেলে শিবির ক্যাডার শহিদুল ইসলাম (৩২) ও কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তার দফাদারের ছেলে ছাত্রদল নেতা আব্দুল মজিদ (৩৩)।
সাতক্ষীরার কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ছাত্রদল নেতা আব্দুল মজিদ ২০০২ সালে কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলাসহ একধিক মামলার আসামি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৫