ঢাকা: ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেডের সাবেক দুই পরিচালক মো. শফিকুর রহমান ও খন্দকার মামুন আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যর্ন্ত দুদকের উপ-পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্ব তিন সদস্যের টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অতিরিক্ত মূল্যে ২০ বছরের পুরানো তিনটি উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে কোটি ডলার বিদেশে পাচার ও শেয়ারবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ অনুসন্ধানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
রোববার আরো চার সাবেক পরিচালক মো. হাজী সানোয়ার মিয়া, মো. আজিজুর রহমান, তরুন মিঞা ও রাজা মিঞাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও তারা সময় বৃদ্ধির আবেদন করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে দুদক সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক দর থেকে বেশি মূল্য দেখিয়ে উড়োজাহাজ ক্রয়ের মাধ্যমে বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও এমডি ক্যাপ্টেন তাসবিরুল আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের চেয়ারম্যান ও এমডির দায়িত্ব পালনের সময় তিনি ২০ বছরের পুরোনো উড়োজাহাজ কিনেছেন আন্তর্জাতিক দর থেকে অনেক বেশি দামে। উড়োজাহাজ কেনার নামে অনিয়মের মাধ্যমে তিনি শেয়ারবাজার থেকে ৪১৫ কোটি টাকাও তুলে নিয়েছেন।
নিয়ম অনুসারে, প্রতিযোগিতামূলকভাবে প্রাপ্ত সর্বনিম্ন দরদাতার কাছ থেকে খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় করা হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ দরপত্র ছাড়াই শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের একক সিদ্ধান্তে উড়োজাহাজ কিনেছে।
দুদক সূত্র আরও জানায়, বিমান সংস্থাটি ২০ বছরের পুরোনো উড়োজাহাজ কিনেছে আন্তর্জাতিক দর থেকে অনেক বেশি দামে। এছাড়া একই সময় কেনা একই মডেলের উড়োজাহাজ তারা কিনেছে ভিন্ন ভিন্ন দামে। যেমন এমডি-৮৩ মডেলের তিন উড়োজাহাজের মূল্য ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৭৬ লাখ ডলার, ৭৬ লাখ ২০ হাজার ডলার ও ৮৮ লাখ ২৪ হাজার ৫৮০ ডলার। অন্য তিনটি মডেলের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫