ঢাকা: আন্দোলনের নামে দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত যে সহিংসতা চালাচ্ছে তা সাধারণের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে জাতীয় জাদুঘরের গ্যালারিতে উপস্থাপিত হতে যাচ্ছে সহিংসতা ও নৃশংসতার খণ্ড চিত্র।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, “রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের নামে ক্ষমতালিপ্সু দলগুলো কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে আর তারা সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কী নৃশংস অবস্থান নিয়েছে তাই তুলে ধরা হবে এই আয়োজনে। স্থিরচিত্র আর ভিডিওচিত্রে ফুটে উঠবে বিএনপি-জামায়াতের মূল চেহারা। ”
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশব্যাপী যে নৈরাজ্য চালাচ্ছে তার ওপর অন্তত ১৫০টি আলোকচিত্র ও ১৫ মিনিটের একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হবে এই কর্মসূচিতে।
বিএনপি ও জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোট হরতাল ও অবরোধের নামে দেশব্যাপী যে সব নৃশংস হত্যাকাণ্ড, পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মানুষ হত্যা, মূল্যবান সম্পদ জ্বালিয়ে দেওয়া, রেল-লাইন উপড়ে ফেলে সাধারণ যাত্রী হতাহত করার ও ক্ষয়ক্ষতির যে নজির সৃষ্টি করেছে তা সব মহলকে জানানোই হচ্ছে এই কর্মসূচির লক্ষ্য, বলেন তিনি।
কর্মসূচিতে কূটনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে ডাকা হচ্ছে। তারা নিজেদের চোখে দেখেই বিচার করতে পারবেন এসব তথাকথিত আন্দোলনের ভয়াবহ দিক, বলেন ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় জাদুঘরের এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষ জানতে পারবে বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা কোনও আন্দোলন নয়, স্রেফ নৃশংসতা।
তিনি বলেন, সারাদেশে যেসব নৃশংসতা চলছে তার সত্যিকারের ভযাবহতা ফুটে উঠবে এতে উপস্থাপিত ছবি ও ভিডিওচিত্রে।
মূলত দেশবাসীকে এ বিষয়গুলোতে সচেতন করে তোলা ও তাদের কাছে সত্যিকারের বার্তা পৌঁছে দেওয়াই এই আয়োজনের লক্ষ্য, বলেন আশরাফুল আলম।
২০-দলীয় জোটের নৃশংসতার ভয়াবহ শিকার যে মানুষগুলো তারা কিংবা তাদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন এই কর্মসূচিতে। তারা তুলে ধরনের নিজ নিজ অভিব্যক্তি।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যাদের পুড়িয়ে মারা হয়েছে তাদের পরিবারের সদস্যরাই কেবল বুঝতে পারেন স্বজন হারানোর বেদনা, আর যারা দগ্ধ হয়েছেন তারাই বলতে পারবেন পোড়ার কি যন্ত্রণা। আর সে কথা জানাতেই তাদের কেউ কেউ হাজির থাকবেন এই কর্মসূচিতে।
আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃত মাইশার মা ও নূরুল আলমের স্ত্রী থাকবেন তাদের কথা বলার জন্য।
জাতীয় জাদুঘরে এই আয়োজন চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার কর্মসূচির উদ্বোধন করার পর সাধারণের জন্য গ্যালারি উন্মুক্ত করা হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৬০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৫