ঢাকা: একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দু’টি মরদেহের ময়না তদন্তকারী চিকিৎসক ডা. নুর হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক শাখার প্রধান ডা. নুর হোসেন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।
আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি বাকি সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নুর উদ্দিন।
এর মধ্য দিয়ে মামলার ৪৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১০তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। এর আগে ১০৯তম সাক্ষী হিসাবে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোয়াজ্জেম হোসেনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমানের সহকারী আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল বাংলানিউজকে বলেন, সাক্ষী নুর হোসেন ঘটনার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত ২৪ জনের মধ্যে মামুন মৃধা ও কুদ্দুস পাটোয়ারী নামক দু’জনের মৃতদেহের ময়না তদন্ত করেছিলেন। সে বিষয়ে মঙ্গলবার তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।
অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন আটক। তাদেরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫