ঢাকা: চলমান হরতাল-অবরোধে, নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও মালিকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ক্ষতিপূরণ হরতাল-অবরোধ আহ্বানকারীদের কাছ থেকেই আদায় করার কথা বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির জন্য যারা দায়ী তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় এবং অবহেলা জনিত দুর্ঘটনার কারনে কোন শ্রমিক মৃত্যবরণ করলে তিনি কত টাকা প্রাপ্য হবেন সে বিষয়ে আইনে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ ও তাগিদ দেয়া হয়।
কমিটির সভাপতি মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক, মো. ইসরাফিল আলম, আনোয়ারুল আবেদীন খান, ছবি বিশ্বাস, শিরীন আখতার, মো. রুহুল আমিন এবং রেজাউল হক চৌধুরী অংশ নেন।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে কমিটির সদস্য শিরীন আখতার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, যারা হরতাল-অবরোধে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করছে, তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে বলা হয়েছে। ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়া ও পরিমাণের বিষয়টিও আইনে সুনির্দিষ্ট করতে বলা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে হরতাল-অবরোধে শ্রমিক পক্ষের ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪৯ জন শ্রমিককে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে অনুদান প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। মালিক পক্ষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম, পণ্য বিপণন ও পরিবহন ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
সরকারি ভাষ্য অনুযায়ী, গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৬৬৪টি যানবাহন পেট্রোল বোমা দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ৪১০টি যানবাহন ভাংচুর করেছে অবরোধ সমর্থকরা। ২৮টি স্থাপনা পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। রেলপথে নাশকতার ঘটনা ঘটেছে ২৫টি আর নৌপথে ৬টি।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বৈঠকে গার্মেন্ট শ্রমিকদের জন্য ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে ডরমেটনি নির্মাণের সুপারিশ করেছে কমিটি।
একইসঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে প্রণয়ন করা আইনটিকে যথাযথ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫