কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে: অমর একুশে ফেব্রুয়ারির দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের শহীদ বেদী প্রাঙ্গণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা ব্যানারে বড় বড় লাল বর্ণমালায় লেখা, ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’, ‘পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা বন্ধ করো’।
এদিন শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে আসা বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষ দেশের চলমান সহিংসতাকে এভাবেই ধিক্কার জানিয়েছেন।
এছাড়া পেট্রোল বোমায় যাতে আর কোনো মানুষ মারা না যান, সবাই এ কামনাই করেছেন। শ্রদ্ধা জানানো শেষে কথা হয় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সনৎ কুমার ঘোষের সঙ্গে।
সনৎ বাংলানিউজকে বলেন, ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। সঙ্গে এটাও কামনা করছি, যাতে দেশের সহিংস রাজনীতি বন্ধ হয় ও আমাদের মতো সাধারণ মানুষ গণতন্ত্র নামক গরম তেলে (পেট্রোল বোমা) পুড়ে না মারা যায়।
একইভাবে শহীদ মিনারে গ্রিন পার্টির ব্যানার নিয়ে ঘোরাঘুরি করছেন চারজন। তাদের ব্যানারেও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীদের ধিক্কার জানানো হয়েছে।
ব্যানারের ভাষা ছিল, ‘আর সহিংসতা নয়, শান্তি চাই, গণতন্ত্র চাই, সংলাপ চাই। দোহায় আর আগুনে পোড়াবেন না, দেশবাসী শান্তি চায়। রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করছি ও সুস্থ গণতন্ত্র চাই। ’
কথা হয় গ্রিন পার্টির নেতা তুতিউর রাহমান চৌধুরির সঙ্গে, দেশে যাতে হানাহানি ও পেট্রোল বোমার রাজনীতি বন্ধ হয় এজন্য সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে এসেছি।
শহীদ মিনারে সিপিবি’র ব্যানারে লেখা ছিল, ‘জামায়াত-শিবিরের সাম্প্রদায়িক রাজনীতি রুখে দিতে হবে। ’
দেশের চলমান সহিংসতা ও ২১ ফেব্রুয়ারি প্রসঙ্গে একই কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি প্রফেসর ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ভাষার মাসে দেশের মানুষ পেট্রোল বোমায় মরবে এটা মেনে নেওয়া যায় না। একুশ মানে মাথা নত না করা। দেশের ১৬ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে সব ষড়যন্ত্র মুছে যাবে। ভাষা ও দেশের স্বাধীনতার জন্য অনেকে প্রাণ দিয়েছেন। ভাষা আন্দোলনের এত বছর পর কেন দেশের সাধারণ মানুষ পুড়ে মরবে! এই চেতনা নিয়ে তো ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫