রাজবাড়ী: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি (এমভি মোস্তফা-৩) শনাক্ত করেছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১টার দিকে লঞ্চটি শনাক্ত করে রশি বাঁধা হয়।
মানিকগঞ্জের ঘিওর ফায়ার সার্ভিস অফিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর জিহাদ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি ৩৫থেকে ৪০ ফুট গভীরে রয়েছে। লঞ্চের সামনের দিকটা রয়েছে নিচের দিকে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের মাস্টার আফজাল হোসেন বাংলানিউজকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে পাটুরিয়া ঘাট থেকে এক কিলোমিটার দূরে পণ্যবাহী একটি কার্গো’র ধাক্কায় ডুবে যায় এমভি মোস্তফা-৩।
এ ঘটনায় ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অপর এক লঞ্চের সারেং হাবিবুর রহমান বলেন, রোববার বেলা পৌনে ১২টার দিকে এদুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের উদ্ধার হওয়া যাত্রী গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি অফিসের হেড ক্লার্ক তফসির বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার সময় তিনিসহ কেবিনের বাইরে থাকা যাত্রীদের অনেকে সাঁতরে অন্য লঞ্চ ও ট্রলারে উঠতে সক্ষম হয়।
তবে লঞ্চের ভেতরে থাকা শতাধিক যাত্রী বের হতে পারেনি। এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যুর আশঙ্কা করছেন তিনি।
তফসির আরো জানান, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর এলাকা থেকে আসা একটি কার্গো লঞ্চটির মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লঞ্চটি ডান দিকে উল্টে ডুবে গেছে।
ডুবে যাওয়া লঞ্চের ফল বিক্রেতা রমজান আলীর শ্যালক সাইদুল ইসলাম জানান, তার ভগ্নিপতির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। রমজানের বাড়ি রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার অন্তার মোড়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫
** মাঝপদ্মায় লঞ্চডুবি, ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা
** ২ শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ পদ্মায় লঞ্চডুবি