দুর্ঘটনাস্থল( মাঝপদ্মা) থেকে: পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মোস্তফা থেকে নারী-শিশুসহ ৪৩ যাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত এ মৃতদেহগুলো উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন- ১৭ নারী, ৩ মেয়ে শিশু, ৪ ছেলে শিশু ও ১৯ জন পুরুষ রয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
মানিকগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহীনুর আলম খান বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, নৌবাহিনীর ১১ সদস্যের একটি ডুবুরি দল পদ্মানদীর দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এ দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার তৌফিক।
দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। এছাড়াও সেখানে রয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাশিদা ফেরদৌস, পুলিশ সুপার (এসপি) বিধান ত্রিপুরাসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
কমফোর্ট লাইন ও রাজধানী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা ডুবে যাওয়া লঞ্চ মোস্তফায় ছিল। বাস দুটি ঢাকা থেকে গোপালগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল বলে জানা গেছে।
এদিকে, লঞ্চডুবির ঘটনায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে স্ব স্ব জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে দুটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এছাড়া মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্যোগে একটি মেডিকেল সেন্টার খোলা হয়েছে পাটুরিয়া ঘাটে।
এর আগে বেলা পৌনে ১২টার দিকে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে সারবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যায় লঞ্চটি। পাটুরিয়া লঞ্চঘাট শাখার সুপারভাইজার জুয়েল রানা বাংলানিউজকে জানান, লঞ্চটিতে দেড় শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫/ আপডেট ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫/আপডেট: ১৮৩৭/২১৫২ ঘণ্টা
** লঞ্চডুবিতে নিহতদের প্রতি জামায়াতের শোক
** দাদু আমার হাত ছেড়ে দিও না
** লঞ্চ ডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
** লঞ্চ উদ্ধারে নৌবাহিনীর ১১ ডুবুরি
** নিহতদের পরিবারকে সহায়তা ঘোষণা
** ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ শতাধিক
** দুর্ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন নৌমন্ত্রী
** নারীর মৃতদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ শতাধিক
** ডুবে যাওয়া লঞ্চ শনাক্ত, চলছে উদ্ধারের প্রস্তুতি
** মাঝপদ্মায় লঞ্চডুবি, ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা
** ২ শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাঝ পদ্মায় লঞ্চডুবি