ঢাকা: দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা ও শিক্ষা লাভের সুবিধার্থে সব প্রকাশকদের বছরে অন্তত দু’টি বই ব্রেইল ও ডেইজি পদ্ধতিতে প্রকাশ এবং প্রচারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ভিস্যুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটি (ভিপস)।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. মোশাররফ হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম।
আলোচনা সভায় শারীরিক প্রতিবন্ধীরা চলার পথে বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। তারা দাবি করেন, বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে প্রতিবন্ধীরা পিছিয়ে থাকতে চায় না। তবে তাদের অনেক সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয়। সরকার যদি তাদের সুযোগ-সুবিধায় নজর দেয় তবে প্রতিবন্ধীদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। বিশেষ করে প্রতিবন্ধীদের শিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তারা আরও বলেন, বর্তমানে শুধু ব্রেইল ও ডেইজি পদ্ধতিতে শিক্ষা অর্জন সম্ভব নয়। এজন্য নতুন নতুন সফটওয়্যার ডেভলপ করা প্রয়োজন। শারীরিক প্রতিবন্ধীরা আজ বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখছে। তাই আমাদের দেশে যদি শারীরিক প্রতিবন্ধীদের পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তবে আমরা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারি।
শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অভিযোগ শুনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, আমি মনে করি ব্রেইলের চেয়ে বাংলা সফটওয়্যার প্রতিবন্ধীদের জন্য অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। বর্তমান সরকার বিভিন্ন সফটওয়্যার ডেভলপে কাজ করছে। তবে আমাদের এটা খেয়াল রাখতে হবে যে শিক্ষা গ্রহণের পর যেন প্রতিবন্ধীদের চাকরির নিশ্চয়তা থাকে। যোগ্যতা অনুযায়ী তারা যেন কাজ পায়। এ বিষয়ে সরকার অনেক আন্তরিক।
আলোচনা সভায় প্রতিবন্ধী মানুষের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বাংলা ভাষা চর্চার অধিকার সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি সুপারিশ করা হয়।
সুপারিশগুলোর মধ্যে- বাংলাদেশের প্রকাশক-লেখকদের প্রতিবন্ধী মানুষের জীবনকাহিনী, প্রতিভা ও সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাহিত্য, নাটক, চলচ্চিত্র, প্রবন্ধ, গবেষণামূলক সৃষ্টি ও প্রচারের ব্যবস্থা, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মানুষের বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চা ও শিক্ষা লাভের জন্য বাংলা একাডেমি ও সব প্রকাশককে বছরে অন্তত দু’টি বই ব্রেইল ও ডেইজি পদ্ধতিতে প্রকাশ উল্লেখযোগ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫