ঢাকা: ইত্তেফাকের সাবেক উপদেষ্টা সম্পাদক আকতার উল আলমের মেয়ে ফাহমিদা আক্তার হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের চিহ্নিত করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তবে বর্তমানে তারা নজরদারির মধ্যে রয়েছেন।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
সহকারী কমিশনার ইকবাল হোছাইন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি এই খুনের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতার করতে। তদন্তে মোটামুটি একটা পর্যায়ে এসে পৌঁছা গেছে। দ্রুত ফলাফল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
৩০ জানুয়ারি রাজধানীর রামপুরার মহানগর আবাসিক এলাকার ৫ নম্বর রোডের ১০৫ নম্বর বাসা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ফাহমিদার লাশ উদ্ধার করা হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের সূত্রটি বলছে, গত প্রায় একমাসে এ ঘটনায় ২০/২৫ জনের মতো সন্দেহজনক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা ব্যক্তিদের মধ্যেই ঘাতক রয়েছে। তবে প্রমাণের জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রমাণগুলো হাতে আসা মাত্রই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
ঘাতকরা যেন পালিয়ে যেতে না পারে সে জন্য গভীর পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয়েছে এবং তাদের প্রতিদিনের কর্মকাণ্ড নজরদারিতে রয়েছে বলেও জানায় সূত্র।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে তিনজন অংশ নেয় বলে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এদিকে খুনের পর থেকে ফাহমিদা আক্তারের মোবাইলটি আর চালু হয়নি। এমনকি তিনি যে মোবাইল ব্যবহার করতেন সেটির সিম বদলে অন্য কোনো সিমও সেই মোবাইলে ব্যবহার করা হয়নি।
গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, মোবাইল প্রযুক্তি সম্পর্কে খুনিরা হয়তো জ্ঞানসম্পন্ন। এ কারণে মোবাইলটি নিয়ে গেলেও সেটি তারা নষ্ট করে দিয়েছে।
মোবাইলটি খোলা হলে হয়তো অল্পদিনের মধ্যেই পুরো খুনের মোটিভ উদ্ধার হয়ে যেত।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৫