ঢাকা: আমাকে আর কখনও দেখতে আসবে না। আমাকে জড়িয়ে কখনও আদর করবে না।
রোববার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মেয়েকে ঢাকায় রেখে রাজবাড়ী যাওয়ার পথে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে এমভি মোস্তফা-৩ লঞ্চ ডুবিতে নিহত হন দুলা’র মা রাজবাড়ী শেরে বাংলা হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা অসীমা রাণী (৪০)।
দুলা বলেন, আমার ভাল কলেজে লেখাপড়া করানোর জন্য ঢাকায় একটি বাসা ভাড়া করেছে। ছোট বোন চৈতি রাজবাড়ী গালর্স স্কুলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে। মা মাঝে মধ্যে ঢাকায় এসে আমাকে দেখে যায়। নিজের হাতের আমার পছন্দের খাবার তৈরি করে নিয়ে আসেন। এখন আমাকে আর আদর করে কেউ খাওয়াবে না।
মা আমাদের দুই বোনকে বলতো তোরা আমার মেয়ে, তোরা আমার ছেলে। আমার স্বপ্ন ভাল লেখাপড়া করে মানুষের মত মানুষ হওয়া। তোরা আমার স্বপ্ন পূরণ করবি।
নিহত শিক্ষকা অসিমা রাণী’র স্বামী অ্যাডভোকেট সৎজিত কুমার দাস লাশের পাশে বসে বলছেন অসীমা তুমি আমার কি দায়িত্ব দিয়ে গেলে। আমি কি তোমার দেওয়া দায়িত্ব পালন করতে পারবো।
রাজবাড়ী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা বলেন, সৎজিত আমার বন্ধু। ওর বাসায় গেলে আমাদের কখনও না খেয়ে আসতে দিত না ভাবী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৫