ঢাকা: স্ত্রী রেন্টিনা চাকমার ওপর বর্বরতার প্রতিবাদ ও তার সন্ধানের দাবি জানিয়েছেন ফটোসাংবাদিক ও বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সদস্য সৈকত ভদ্র।
সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সৈকত ভদ্র বলেন, সাংগঠনিক কাজের সূত্র ধরে ২০১০ সালে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের মাধ্যমে আমার ও রেন্টিনা চাকমার মধ্যে পরিচয় হয়। আমি বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সদস্য ও আমার স্ত্রী রেন্টিনা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (ইউপিডিএফ) সদস্য।
আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে। ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর আমরা বিশেষ বিবাহ আইনে বিয়ে করি।
তিনি বলেন, আমার স্ত্রী বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যান। এরপর তারা আমার স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার করেন ও আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ইউডিপিএফের চাপে পড়ে শ্বশুর-শাশুড়ি তার স্ত্রীকে মিথ্যা কথা বলে নিয়ে যায় বলে দাবি করে সৈকত ভদ্র বলেন, এরপর থেকে আমি প্রায় একমাস ধরে তার কোনো সন্ধান পাচ্ছি না। এমনকি আমার স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ির ফোনও বন্ধ পাচ্ছি। তারা আমার স্ত্রীর অমতে সৈকত চাকমা নামে এক ছেলের সঙ্গে তার বিয়ে দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন। সবই ইউপিডিএফের চাপে করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, ইউপিডিএফ তাকে (তার স্ত্রী রেটিনা) বাড়ি থেকে জোর করে নিয়ে শহরে পাশের একটি বাসায় আটকে রেখেছে।
ইউপিডিএফের সদস্য সৈকত চাকমা আমার স্ত্রীর ওপর নানানভাবে নির্যাতন চালাচ্ছেন। কিন্তু ওদের চাপে (ইউপিডিএফ) আমার শ্বশুর-শাশুড়ি নীরব রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫