ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জাতীয় পার্টির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বারের মামলার রায় দিতে শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা এগারটা ১০ মিনিটে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার শান্তি (পিস) কমিটির চেয়ারম্যান জব্বারের মামলার রায় ঘোষণা শুরু হয়েছে।
মোট ১৪১ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পাঠ করা হচ্ছে।
এর আগে বেলা এগারটার দিকে ট্রাইব্যুনালে এসে বেলা এগারটা ৮ মিনিটে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে আসন নেন বিচারপতিরা। শুরুতে সংক্ষিপ্ত ভূমিকা বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।
ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল জব্বার অভিযুক্ত হয়েছেন হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্মান্তরিতকরণ এবং বাড়ি-ঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের ৫টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে। আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন’১৯৭৩ এর ৩(২)/এ, ৩(২)/সি, ৩(২)/ডি, ৩(২)/জি ও ৩(২)/এইচ এবং ২০(২) ধারা অনুসারে গঠন করা এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ৩৬ জনকে হত্যা-গণহত্যা, ১৫ জনকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন ও গুরুতর জখম, ২শ’ জনকে ধর্মান্তরিতকরণ এবং লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগ করে ৫শ’ ৮৭টি বাড়ি-ঘর ধ্বংস করার অভিযোগ।
১৯৭১ সালের আগের মুসলিম লীগের নেতা আব্দুল জব্বার ১৯৫৬ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেন। স্থানীয় মুসলিম লীগ নেতা শ্বশুরের হাত ধরে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী তৎপরতায় জড়ান জব্বার। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তার নেতৃত্বে মঠবাড়িয়া থানায় রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। জব্বার ছিলেন থানা শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান। আত্মীয় ইস্কান্দার মৃধাকে তিনি রাজাকার কমান্ডার করেন।
জব্বারের নেতৃত্বে ও তার উপস্থিতিতে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়ার ফুলঝুড়ি, নলী ও আঙ্গুলকাটা গ্রামে মানবতাবিরোধী বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
১৯৮৮ ও ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার জব্বার। ৮৩ বছর বয়সী জব্বার যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ছেলে-মেয়ের কাছে পালিয়ে আছেন বলে ধারণা করছেন প্রসিকিউশন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
** এজলাসে বিচারকরা
** ট্রাইব্যুনালে বিচারকরা
** জব্বারের যুদ্ধাপরাধের রায়ের অপেক্ষা
** জব্বারের যুদ্ধাপরাধের রায় মঙ্গলবার