ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্নে কাউকেই ছাড় নয়, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫
অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্নে কাউকেই ছাড় নয়, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ঢাকা: অনিয়ম-দুর্নীতি প্রশ্নে সরকার কাউকেই ছাড় দেয়নি, দেবেও না- এই ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন,  জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করে সাধারণ মানুষের ভাগ্যোদয়ই সরকারের মূল লক্ষ্য।


মঙ্গলবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মিরপুরে সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজের গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দেশের সর্বত্র ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার ঘটিয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হচ্ছে। আমরা ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহ্যবাহী সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ  থেকে ‘পিএসসি’ ডিগ্রি অর্জন সশস্ত্র বাহিনীর যেকোন অফিসারের জন্যই গৌরবের বিষয় বলেও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস এ প্রশিক্ষণ আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালনে এবং যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আরও আত্মপ্রত্যয়ী হতে শেখাবে।
 
‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের অধীনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিরক্ষা, গণতন্ত্রে উত্তরণ, সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনাসহ পুনর্গঠন কার্যক্রমে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাদের সাফল্যে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হয়েছে,’-- বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ সীমিত। আর সে সীমিত সম্পদ দিয়েই একটি যুগোপযোগী, দক্ষ ও শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই।

এ লক্ষ্য অর্জনে উন্নত প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য যা যা করার দরকার তার সরকার সবই করবে বলেও ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ২০২১ সালে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে চাই।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া বার্নিকাট, তিন বাহিনীর প্রধানসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কোর্সে উর্ত্তীর্ণদের হাতে গ্র্যাজুয়েশন সনদ তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
 
এ বছর বাংলাদেশ সেনাবিহিনীর ১২০ জন, নৌবাহিনীর ২৩ জন, বিমানবাহিনীর ১৯ জন ও ৫২ জন বিদেশি অফিসার ‘পিএসসি’ ডিগ্রি অর্জন করেন। এর মধ্যে ১২ নারী কর্মকর্তাও রয়েছেন।

বাংলাদেশ: ১২১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৫, আপডেটেড: ১৪২১ ঘণ্টা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।