ঢাকা: মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় চাকরি নেওয়া নিজেদের ১২ কর্মকর্তার রেকর্ডপত্র চেয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. জুলফিকার আলী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি দেন।
দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র বাংলানিউজকে এসব বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য কোটায় জালিয়াতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে কি-না সেটি যাচাইয়ের লক্ষ্যে অনুসন্ধান চলছে। চাকরি নেওয়া ১২ কর্মকর্তাকে পোষ্য হিসেবে শনাক্তকরণে সরকার নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে কি-না সে বিষয়ে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে দুদকের রেকর্ডপত্র ইতোমধ্যেই সংগ্রহ করা হয়েছে।
তবে কর্মকর্তাদের বাবা-মা কিংবা পরিবারের সদস্যরা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা কি-না সেটি নিশ্চিত হতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
নিয়োগপ্রাপ্তরা কেউ পিতা, কেউবা পিতামহ (দাদা), এমনকি নানাও মুক্তিযুদ্ধ করেছেন মর্মে সত্যায়িত রেকর্ডপত্র দাখিল করেন। দাখিলকৃত রেকর্ডে মুক্তিযোদ্ধা সনদের জাল কাগজপত্র ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক আহমেদ, মো. আতিকুল আলম, জুয়েল আহমেদ, মঈনুল হাসান, এহসানুল কামরান তানভীর, আতিকুর রহমান, মো. শাওন মিয়া, নাজমুল আহসান, উপ সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল, নিয়ামুল আহসান গাজী এবং মো. সাইদুজ্জামান।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারিও তাদের তথ্য চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছিলো দুদক। তথ্য না পাওয়ায় ফের নোটিশ পাঠিয়েছে রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৫