ফেনী: ফেনী-৩ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বরাদ্ধকৃত টিআর-কাবিখার ৪৫ টন চাল ছিনিয়ে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ইউনিয়ন যুবলীগের কর্মীরা চাল ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে সোনাগাজী থেকে ফেনীতে নেওয়ার পথে ধলিয়ায় চাল ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্ধকৃত টিআর-কাবিখার ৪৫ টন চাল ভর্তি ৩টি পিকআপ দোলোয়ার হোসেন নামে এক ডিলারের কাছে বিক্রির উদেশ্যে রওনা দেয়। চালভর্তি গাড়িগুলো সোনাগাজী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের ধলিয়ায় পৌঁছলে ওই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক আনোয়ার আহাম্মদদের নেতৃত্বে আ.লীগের কর্মীরা ব্যারিকেড দেন। এ সময় তারা ৪ হাজার ৫শ‘ কেজি চাল ছিনিয়ে নেন। লুটকৃত চালের আনুমানিক মূল্য ১০ লাখ টাকা।
হাজী রহিম উল্যাহ’র ব্যাক্তিগত সহকারী জুলফিকার মাসুম দিদার জানান, উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল বিক্রির পর তাদের টাকা দিতে বিক্রির উদ্দেশ্যে রওনা দেই। পথিমধ্যে আওয়ামী লীগকর্মীরা এগুলো ছিনিয়ে নেয়।
ফেনী-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাজী রহিম উল্যাহ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুর্বৃত্তরা সোনাগাজী থেকে চালগুলো ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ ধলিয়া পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে চলে গেলে আ’লীগ নেতা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিরন, ভাগিনা ফারুক ও কোর্ট রিপনের নেতৃত্বে চালগুলো ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, বিষয়টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক পিপিএম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এখনও শোনেনি বলে জানান।
দীর্ঘদিন ধরে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ও জেদ্দা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী রহিম উল্যাহ’র সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো। এনিয়ে সোনাগাজীতে একাধিকবার এমপি সমর্থকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৫