রাজধানীর ভেতরেই এবার বসবে গ্রামের বৈশাখী মেলা। সে মেলায় জমবে সার্কাস, হাতি নাচবে ঘোড়া নাচবে, নাগরদোলায় দুলবে শিশু-বড়োরা, পুতুল নাচ দেখবে সবাই।
ঢাকার ভেতরেই এক অন্য ঢাকা। চারিদিক খোলামেলা। গ্রাম গ্রাম আমেজ। আবার অত্যাধুনিক ভবনে ইউরোপ আমেরিকার ছোঁয়া। এখানেই জমবে এবারের বৈশাখী মেলা।
গুলনকশা, পুষ্পগুচ্ছ, রাজদর্শন, নবরাত্রিতে চলবে এসব আয়োজন। এগুলো বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটির একেকটি হল।
রাজধানীর কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে নেমে পূর্বাচলের পথে ৩০০ ফুট প্রশস্ত রাস্তার পাশ ঘেঁষে এই কনভেনশশন সিটি।
আন্তর্জাতিক সেমিনার সিম্পোজিয়াম, প্রযুক্তির মেলা আয়োজন করে এই সেন্টার এরই মধ্যে জনপ্রিয় ভেন্যু। কিন্তু এবার সেখানে জমবে বৈশাখী মেলা। পহেলা বৈশাখের দিনে যারা ঠাসাঠাসি ঠেলাঠেলি কিছুটা এড়াতে চান আবার মেলাও উপভোগ করতে চান তাদের জন্য স্বস্তির হবে এই আয়োজন। এতে চৈত্র সংক্রান্তি আর পহেলা বৈশাখ ধরা দেবে এক আয়োজনে। চৈত্র সংক্রান্তিতে শুরু হয়ে পহেলা বৈশাখ পার করে আরও দুইদিন চলবে এই মেলা।
রাজধানীর অন্যান্য বৈশাখী মেলার পাশাপাশি এই আয়োজন অনেকেরই দৃষ্টি কাড়বে বলেই প্রত্যাশা আয়োজকদের। তারা মনে করছেন, একটু বড় পরিসরে, শহরের ভেতরেই গ্রামের মতো খোলামেলা এই মেলা প্রাঙ্গন হয়ে উঠবে ঢাকাবাসীর বড় আকর্ষণ। ঐতিহ্যবাহী আয়োজনের পাশাপাশি ব্যক্তিক্রমী কিছু থাকবে যা সবাইকে টেনে আনবে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে।
বসুন্ধরার এই আয়োজনে গাড়ি চালিয়েই যাওয়া যাবে মেলা প্রাঙ্গনে। পার্কিং সুবিধা নিয়ে হেসে-খেলে-বেড়িয়ে ক্লান্ত হয়ে আবার গাড়ি চেপেই চলে যেতে পারবেন বাড়ি।
তবে এই আয়োজনের বিশেষত্ব আরও কিছু ভিন্নতায়। বসুন্ধরা সিটির আয়োজনে থাকবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া। মেলায় যে স্টলগুলো বসবে তাতে উপস্থাপিত হবে দেশীয় পণ্য। পাশাপাশি ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কারও স্টল থাকবে। তাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্য কেনারও সুযোগ থাকবে দর্শনার্থীদের।
আর দিনভর মেলায় থাকবে মনোরঞ্জনের নানা সুবিধা। কেউ একবার ঢুকলে তার ছুটির গোটা দিনই কাটিয়ে দিতে পারবেন এই মেলা প্রাঙ্গনে। সার্কাস, পুতুলনাচ, নাগরদোলার পাশাপাশি দিনভর চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ওপেন স্কাই মুভিজ অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট এবং অ্যাড এশিয়া আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোর সমন্বয়ে থাকবে। সার্কের দেশগুলোছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, চীন, মালয়েশিয়া, তুরষ্ক, থাইল্যান্ডের অংশগ্রহণ থাকবে এই মেলায়।
আর এ উপলক্ষে ‘আগে এলে আগে পাবেন’ ভিত্তিতে স্টল বুকিং চলছে। ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা কুড়িল ফ্লাইওভার ও পূর্বাচল রোডের কাছেই এই সিটির ‘গুলনকশা’ ও ‘পুষ্পগুচ্ছ’ হলে স্টল বুকিং দেওয়া যাবে।
আয়োজকরা জানান, নন-এসি স্টল থাকবে ১০০টি (প্রতিটি ২০ হাজার টাকা), এসি ২০০টি (প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা), এসি কর্নার স্টল ৬০ হাজার টাকা করে ভাড়া দেওয়া হবে।
৬ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুট জায়গায় আন্তর্জাতিক মানের সুবিশাল চারটি হল এই কনভেনশন সিটিতে। রয়েছে দেড় হাজার গাড়ি পার্কিংব্যবস্থা, হেলিপ্যাড সুবিধা, সাউন্ড প্রুফ ইন্টেরিওর ওয়াল, ডাবল কিচেন, ওয়াই-ফাই, ট্রান্সপোর্ট সুবিধা, স্যাটেলাইট রি-ট্রিট সেন্টারসহ অন্যান্য অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা।
দর্শনার্থী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ১০ টাকার টিকিট থাকবে। তবে সেই টিকিই গণ্য হবে আকর্ষণীয় পুরস্কারের র্যাফেল ড্রর টিকিট হিসেবে। একবার মেলার ভেতরে ঢুকলে এরপর যা কিছু সব ফ্রি।
‘স্বস্তি’র বৈশাখী উৎসব হবে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটি’তেই
বাংলাদেশ সময় ১৫১১ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫