নাটোর: নাটোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজিরা দিতে এসে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে গেছেন তিন আসামি।
রোববার (১ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের মামলার হাজিরা দিতে এসে পালিয়ে যান তারা।
পলাতক আসামিরা হলেন, বড়াইগ্রাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের বড়াইগ্রাম উপজেলা সাধারণ সম্পাদক হেলেনা খাতুন, নওগাঁর মান্দা থানার শ্রীরামপুর গ্রামের হামিদুর রহমান হামদোর ছেলে মুস্তাকিন সরদার ও তার ছেলে মোহাম্মদ রতন।
এদিকে, আদালতের বিচারক নাদিরা বেগম এ ঘটনায় আসামিপক্ষের আইনজীবীকে সতর্ক করে পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রতিদেন দাখিলের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, বাদী নাটোরের লালপুর উপজেলার বেলগাছি গ্রামের ছলিমুদ্দিন খানের ছেলে ইয়াহিয়া খানের তার ভাগ্নি তানিয়া খাতুনকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য আসামিদের ১২ লাখ ৯১ হাজার টাকা দেন।
আসামিরা ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই থেকে একই বছরের ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত কয়েক দফায় এ টাকা নেন। ভর্তি করাতে ব্যর্থ হলে টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন তারা।
কিন্তু ভর্তিতে ব্যর্থ হলেও টাকা ফেরত না দেওয়ায় বাদী ওই তিন জনের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি মামলা করেন। রোববার ওই মামলার হাজিরার তারিখ ছিল।
দুপুরে আসামি হেলেনা খাতুন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় অপর দুই আসামি জামিনের আবেদন না করে সরাসরি এজলাসে উঠেন। আদালত তাদের জানিমের আবেদন করা না পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। এরইমধ্যে কৌশলে পালিয়ে যায় আসামিরা।
পরে পুনরায় মামলার ডাক পড়লে আইনজীবী আদালতকে আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানালে গ্রেফতারি পরোয়ানার জারি করেন আদালত।
বাদীর আইনজীবী দীনেশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামিরা আদালত থেকে পালিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পুলিশের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৫