ঢাকা: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা হরতাল-অবরোধ থাকলেও রাজধানীর গুলশানে যান চলাচল স্বাভাবিক।
তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ফুটপাতে কোনো হকার ও দোকানিদের পুলিশ বসতে দিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ফুটপাতে বসা দোকানিরা।
বুধবার হরতাল-অবরোধের তেমন কোনো চিত্র এ এলাকায় দেখা যায়নি। গুলশান এলাকায় সব ধরনের যানবাহন স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে। এরপরও নিরাপত্তা রক্ষায় গুলশান-২ চত্বরে একটি জলকামান অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা গেছে।
বুধবার (০৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশান-১ ও ২ এলাকায় ঘুরে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিদিনের মতো বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ গুলশানের বিভিন্ন অলিগলিতে বসতে শুরু করেন চা-পানের দোকানিরা। তবে এই এলাকার পুলিশ সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে ফুটপাতে বসা দোকানিদের দোকান বন্ধের নির্দেশ দেয় বলে জানিয়েছেন তারা।
গুলশান-২ এ অবস্থিত পিংক সিটির শপিং কমপ্লেক্সের সামনে ফুটপাতের এক চা-বিক্রেতা মুন্না বাংলানিউজকে জানান, মামা, সকালে এসে প্রতিদিনের মতো ব্যবসায় শুরু করি। কিন্তু, দোকান খোলার পর পরই দারোগা এসে বলে, তাড়াতাড়ি সব দোকান বন্ধ কর। আজকে দোকান খোলা যাবে না।
তিনি বলেন, আমরা কেউ এর কারণ জানতে চাই নাই। কিন্তু কী করার আছে! পুলিশ এসে বলে গেছে। তাই, দোকান বন্ধ করে ফেলছি।
দোকান বন্ধ করতে ব্যস্ত আরাফাত। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ভাই! সকালে চুলায় তেল ভরছি চা জ্বাল দিবো বলে। কিন্তু দোকান বন্ধ করার কথা শুনেই বুঝে গেছি, দোকান আর খোলা যাবে না। তাই, তেলগুলো আবার চুলা থেকে গেলানে (বোতল) ঢালতাছি।
ফুটপাতের দোকান ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই হরতাল-অবরোধ আর ভালো লাগে না। আমাগো ব্যবসা করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। শান্তিমতো দোকান খুলে বেচা-বিক্রি করতে পারি না। আমাদের সংসার ক্যামনে (কেমন) চলবো! পেট ক্যামনে চলবো!
ঘুরে দেখা যায়, গুলশানের রাস্তার পাশে ফুটপাতে ও অলিগলিতে কোনো দোকান, চা-পানের দোকান খোলা নেই। আর যে দোকানগুলো খোলা হয়েছিল, তাও বন্ধ করছেন দোকানিরা।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে ৫ জানুয়ারি থেকে লাগাতার অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫