ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

অবরোধ-হরতালের প্রভাব

সিলেটে সিএনজি স্টেশনগুলোর ক্ষতি পৌনে ২ কোটি টাকা

নাসির উদ্দিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০১৫
সিলেটে সিএনজি স্টেশনগুলোর ক্ষতি পৌনে ২ কোটি টাকা

সিলেট: বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের টানা অবরোধ ও দফায় দফায় হরতালে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে সিলেটের সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্প মালিকদের। এ পর্যন্ত আটটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে পেট্রোল বোমা হামলা চালিয়েছে হরতাল-অবরোধকারীরা।



এতে প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে হরতাল অবরোধকারীদের হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নগরীর মিরাবাজার বিরতি সিএনজি ফিলিং স্টেশেনে। দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রোল বোমার আগুনে এই পাম্পের চারটি ডিসপেনসার পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার উপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

একইভাবে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের শিববাড়ি এলাকায় নাঈম সিএনজি ফিলিং স্টেশনে দুই দফা পেট্রোল বোমা হামলায় প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দক্ষিণ সুরমার হাবিব হোসেন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ক্ষতি হয় প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা।

এছাড়া নগরীর চৌখিদেখি উত্তরা পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড সিএনজি ফিলিং স্টেশন, শিবগঞ্জ মনোয়ার সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও কুমারগাঁও সফর উল্লা সিএনজি ফিলিং স্টেশন, পাঠানটুলা নর্থইস্ট সিএনজি ফিলিং স্টেশন, দক্ষিণ সুরমার হুমায়ন রশিদ চত্বর সংলগ্ন শাহজালাল সিএনজি ফিলিং স্টেশনে কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লক্ষাধিক টাকা করে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা দিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিকেলে সিলেটের জেলা প্রশাসন সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখতে সিলেটের দমকল বাহিনীকেও নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। একই সঙ্গে সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রোল পাম্পগুলোর সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সিলেটের সভাপতি জুবায়ের আহমদ বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট বিভাগে ১১৪টি পেট্রোল পাম্প ও ৫৩টি সিএনজি ফিলিং স্টেশন রয়েছে। তবে হামলার ঘটনা ঘটেছে নগরীর সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে।

তিনি বলেন, অবরোধ হরতালে ফিলিং স্টেশন ও পাম্পগুলোর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতেরে সিদ্ধান্তের পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই নগরীসহ বিভাগের সবকটি ফিলিং স্টেশনে তিন জন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সিএনজি ফিলিং স্টেশনে নিরাপত্তা জোরদারে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে দমকল বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পরিমাণ নিরূপণ পাম্প মালিকদের গ্রহণযোগ্যভাবে ক্ষতির পরিমাণের তালিকা প্রস্তুত করে দিতে বলা হয়েছে।

সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পরিমাণ নিরূপণ পাম্পগুলোর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক তিন জন করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের টহল দলও নিরাপত্তায় কাজ করে যাবে।

এছাড়া সিএনজি ফিলিং স্টেশনে নিরাপত্তায় পাম্প মালিকদের নিজস্ব লোকবল বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।