হোটেল লেকশোর থেকে: যারা বোমা মেরে মানুষ হত্যা করবে, তাদের সঙ্গে কখনোই সংলাপ হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী।
প্রায় দুই মাস ধরে চলে আসা বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংস আন্দোলন ও বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর শনিবার (০৭ মার্চ) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট (রাত্রি) আয়োজিত গোলটেবিল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জিনাত হুদা। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিজিওনাল এন্টি টেরোরিস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (রাত্রি) নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) একে মোহম্মদ আলী শিকদার।
এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, যারা গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলছেন, তারাই সহিংসতায় মদদ দিচ্ছেন। আপনাকে একটি সভা করতে দেওয়া হলো না, আর আপনি এজন্য সহিংস পথ বেছে নেবেন, তা হতে পারে না।
তিনি বলেন, তারা জাতিকে আফগানিস্তান বানাতে পারবেন, কিন্তু দেশে শান্তি আনতে পারবেন না। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ তালেবানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। এজন্য স্কুলে দেড় শ’ শিশুকে জীবন দিতে হয়েছে। কারণ শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেওয়া গেলে সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেওয়া যায়। জাতিকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে জঙ্গিবাদ কায়েম করাই তাদের লক্ষ্য। এখানে সংঘর্ষ বিষয়টি আদর্শিক। আদর্শিক দ্বন্দ্ব ঠিক না হলে সংলাপ করে লাভ হবে না।
আলোচনায় আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজানুর রহমান, ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. মুহাম্মদ সামাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অ্যান্ড ইনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিপার্টমেন্টের ডিন অধ্যাপক মাকসুদ কামাল, ক্রিমিনোলজি বিভাগের ডিন ড. জিয়া রহমান, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আহিদুজ্জামান চাঁন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যপক ড. জিনাত হুদা, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, জাপান স্টাডি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ প্রমুখ।
কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদদের মধ্যে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ওয়ালিউর রহমান, সাবেক মন্ত্রী জি এম কাদের, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান, সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান, আবু হেনা, শহীদুল হক জামাল, গোলাম মাওলা রনি ও বাসদের প্রেসিডিয়াম সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন।
ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের মধ্যে অংশ নিচ্ছেন ইসলামী চিন্তাবিদ হাফেজ মওলানা জিয়াউল হাসান, শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদউদ্দীন মাসুদ প্রমুখ।
সাংবাদিক ও অর্থনীতিবিদদের মধ্যে উপস্থিত রয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান, বৈশাখী টেলিভিশনের সিইও মনজুরুল আহসান বুলবুল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান ও অভিনেত্রী শমী কায়সার।
আইনজীবীদের মধ্যে গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স ম রেজাউল করিম, এম এম আমিনুদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মো. মহসিন।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন- ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদাক মোস্তফা কামাল মহিউদ্দিন, এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি আতিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শহীদুল্লাহ আজিম, বিকেএমইএ সহ-সভাপতি এসএম আসলাম সানি, ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বারের বিশেষ উপদেষ্টা আব্দুল মতলুব আহমেদ, উইমেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি সঙ্গীতা আহমেদ, বিজেএমইএ’র সাবেক সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন ও আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
এই গোলটেবিল আলোচনার মিডিয়া পার্টনার দেশের সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এশিয়ান টিভি, একাত্তর টেলিভশন ও এসএ টিভি।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫
** সংলাপ হাসিনা-খালেদার মধ্যেই হতে হবে
** সমঝোতা না হলে জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে
** অবৈধপন্থায় ক্ষমতায় যেতেই এই সহিংসতা
** সংলাপ নয়, সন্ত্রাসের শেষ দেখতে চাই
** দুষ্টের দমন এখনই
** বিএনপি ইসলামি টেরোরিস্টদের হাতে বন্দি
** গঠনমূলক রাজনীতি চাই
** যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর আন্দোলন প্রতিহত করা হবে
** ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানানো খালেদার ভণ্ডামি
** এখন অ্যাকশনের সময়
** ব্যবসায়ীরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছে
** এখন অ্যাকশনের সময়
** স্বাধীনতাবিরোধীদের মদত দিতেই ১৫ আগস্টের জন্মদিন
** বোমা বানানোর বিচার হচ্ছে না
** বর্তমানে যা হচ্ছে রাজনৈতিক কারণেই
** খালেদা কি গিনেস বুকে নাম লেখাতে চান
** যারা শুধু ভূ-খণ্ড চায় তাদের সঙ্গে সংলাপ নয়
** অর্থায়ন বন্ধ না হলে সন্ত্রাস চলতেই থাকবে
** পুড়িয়ে মারার রাজনীতি এদেশে ছিল না
** খালেদা পাকিস্তানের উত্তরসূরী
** আইএসআইএ’র অর্থায়নে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত
** সন্ত্রাস পরিহার করলেই সংলাপ
** বিএনপি জোট শুধুই সন্ত্রাস করছে
** সব ধ্বংস করে একটি অধিকার রক্ষা করা কঠিন
** রাজধানীতে ‘সহিংসতা, জঙ্গিবাদ, সংলাপ ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা