ঢাকা: অভিজিৎ হত্যা মামলা তদন্তে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই।
শনিবার দুপুরে রমনায় নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, অভিজিৎ হত্যায় এফবিআই তদন্ত দল আমাদের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকায় আসার পর ইতোমধ্যেই এফবিআই তদন্ত দল হত্যাকাণ্ডস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখেছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিজিতের বিরুদ্ধে যেসব হুমকি দেয়া হয় সে সবও খতিয়ে দেখছে তারা।
অভিজিত হত্যার তদন্ত প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, আমরা এই ঘটনা খুবই গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষ অফিসার দিয়ে এ মামলার তদন্ত হচ্ছে। মামলা তদন্তে আমাদের নিজেদের সক্ষমতা রয়েছে।
অভিজিৎ হত্যাকাণ্ডে এফবিআই এর তদন্ত প্রসঙ্গে আছাদুজ্জামান বলেন, অভিজিৎ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিক। এজন্যই এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করছে। আমরাও বিষয়টিকে স্বাগত জানাচ্ছি। আমাদের কিছু কারিগরি সমস্যা আছে, এগুলোর সমাধানে তারা আমাদের সহায়তা করছে।
তদন্ত অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যেই ফেসবুকে হুমকিদাতাকে আইনের আওতায় নিয়েছি। এই ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত তাদের শনাক্তের চেষ্টা হচ্ছে। খুব দ্রুতই তাদের গ্রেফতার করা হবে।
এর আগে লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহায়তার জন্য বুধবার দিবাগত রাতে ঢাকা আসে এফবিআই এর চার সদস্যের প্রতিনিধি দল।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মহানগর ডিবি কার্যালয়ে গিয়ে মামলার তদন্তে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক অভিজিৎ বইমেলা চলার মাঝামাঝি দেশে এসে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন। হামলায় আহত হন তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে।
অভিজিৎ হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এ হত্যাকাণ্ড তদন্তে সহায়তার প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এতে সম্মতি দেয় বাংলাদেশ সরকার। এর আগে একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলার তদন্তে সহায়তার জন্যও ঢাকা এসেছিলেন এফবিআই সদস্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০১৫