ঢাকা, শুক্রবার, ১০ মাঘ ১৪৩১, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

সমুদ্র সৈকতে সেতু মন্ত্রী

সাব্বির আহমদ, স্টাফ করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
সমুদ্র সৈকতে সেতু মন্ত্রী ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সৈকতে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সমুদ্রের মিষ্টি মধুর হাওয়ায় গা এলিয়ে যেন একটু অবসর! কিন্তু না অবসর নয়, সড়ক আর সেতু নিয়েই মন্ত্রী এখন ব্যস্ত কক্সবাজারে।

শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে তিনি উদ্বোধন করেন টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কের দু্’টি সেতু।

আকারে ছোট হলেও সেতু দু’টি এই সড়কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্র সৈকতের শহরে এসে পৌঁছান মন্ত্রী। অবস্থান নেন সমুদ্র তীরে অবস্থিত সেনাবাহিনীর একটি রিসোর্টে।

তারপর প্রভাতের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পা বাড়ান সৈকতে। সমুদ্র তীরে সকালের স্নিগ্ধ বাতাসে আপন মনে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ান তিনি।

সেতু উদ্বোধন ছাড়াও শুক্রবার মেরিন ড্রাইভ সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা।

৮২ কিলোমিটার সড়কের এই মেরিন ড্রাইভ বিশ্বের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ হবে বলে মনে করছেন সড়ক মন্ত্রী।

২৭ বছর আগে থেকে এই সড়কটি হবার কথা থাকলেও নানা কারণে তা ঝুলে ছিলো। মেরিন ড্রাইভটি এখন একবারে পিক স্টেজে আছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ৪৮ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। আর ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের কাজ শেষ হবে। তখনই দেশি বিদেশি পর্যটকদের জন্য তা উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

এদিকে সেতুমন্ত্রীর এবারের সৈকত শহরের সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ঢাকা থেকে যোগ দেয়া সড়ক ও সেতু বিটের একদল সংবাদকর্মী।

তাদের সঙ্গে রয়েছেন বাংলানিউজের এ প্রতিবেদকও। সমুদ্র শহরে মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে সংবাদ সংগ্রহে তারা এখন বান্দরবানের দুর্গম থানচির পথে।

সেনাবাহিনীর বাস্তবায়নে সেখানেও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাজ পরিদর্শন করবেন মন্ত্রী।

এদিকে শুক্রবার বিকেলে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনে যোগ দিয়েছেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। হাজার হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী পূণ্যার্থীর অংশ গ্রহণে প্রতি বছরের মত এবারও কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
এসএ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।