ঢাকা: নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর জেলাকে নিয়ে ‘নোয়াখালী বিভাগ’ বাস্তবায়নের দাবি জোরালো হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে স্থানীয়ভাবে জনমত সৃষ্টি হওয়ার পর রাজধানীতেও অন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছেন এ তিন জেলার বাসিন্দারা।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর কাঁটাবনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া (বিজেম) কার্যালয়ে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের গ্রুপ ‘সম্ভাবনার রায়পুর’র উদ্যোগে আয়োজিত এক বৈঠকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, ২৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকায় অবস্থানরত বৃহত্তর নোয়াখালীর বাসিন্দারা দাবি আদায়ে মানববন্ধন করবেন।
‘সম্ভাবনার রায়পুর’র অ্যাডমিন জিল্লুর রহমানের পরিচালনায় বৈঠকে অংশগ্রহণকারীরা নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের দাবিতে তাদের মতামত তুলে ধরেন।
মাইজদীর জোবায়েদ হোসেন জুব বলেন, নোয়াখালী বিভাগ আমাদের অধিকার। এ অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সবাইকে অংশ নিতে হবে।
বেগমগঞ্জের ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, দল মত নির্বিশেষে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি করে এ আন্দোলনকে বেগবান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমাদের কাজ করতে হবে।
লক্ষ্মীপুর সদরের এমরান হোসেন রনী বলেন, নোয়াখালী বিভাগ চাইলেই হবে না, কেন চাই সেটি সরকারকে বোঝাতে হবে। দাবি আদায়ে ঐতিহ্যগত নোয়াখালী-ইজমকে কাজে লাগাতে হবে।
একই এলাকার ফিরোজ আলম টিপু বলেন, জাতীয়ভাবে নিজস্ব পরিচয় ধরে রাখতে নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন করতে হবে। তিন জেলার নাগরিকদেরকে সমন্বয় করে আন্দোলন জোরদার করতে হবে।
কমলনগরের সানা উল্লাহ সানু বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালীর মিডিয়াগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে বিভাগ বাস্তবায়নের সংবাদ প্রচার করতে হবে। এ দাবিকে সামাজিক আন্দোলনে রূপ দিতে হবে। বিভিন্ন স্থানে নোয়াখালীর ভাষার চর্চা বাড়াতে হবে।
রামগঞ্জের মির্জা তারেকুল কাদের বলেন, সারা বিশ্বে নোয়াখালী একটি রয়্যাল জেলা। যার ঐতিহ্য মোগল আমল থেকেই চলে আসছে। তিন জেলার মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলে সুপরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
ফেনীর ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, নোয়াখালী বিভাগ আমাদের প্রাণের দাবি। এ দাবি আদায়ে তিন জেলার সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ফেনীর বিভিন্ন সংগঠনকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলনকে আরও জোরদার করতে হবে।
রায়পুরের মাহমুদুল হক নান্নু বলেন, নোয়াখালীবাসী বিভাগের দাবি রাখে। এবার নোয়াখালীবাসী তাদের সক্রিয়তা চায়। নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রামগঞ্জের ফরিদ আহমদ বাঙ্গালী বলেন, চর জেগে নোয়াখালীর পরিধি দিন দিন বাড়ছে। নোয়াখালী বিভাগ বাস্তবায়নের জন্য যৌক্তিকভাবে দাবিগুলো তুলে ধরতে হবে। আন্দোলন বাস্তবায়নে রাজনৌতিক সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে হবে। নোয়াখালী অথবা উপকূলীয় বিভাগও হতে পারে।
রায়পুরের কাজী মঞ্জুরুল আলম বলেন, নোয়াখালীবাসীর স্বতন্ত্র সক্রিয়তা আছে। এ আন্দোলনে মিডিয়ার ভূমিকা অগ্রগণ্য। আন্দোলন বাস্তবায়নে একটি লিঁয়াজো কমিটি করা প্রয়োজন।
রামগতির এএইচএম নোমান বলেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নোয়াখালী নামে একটি বিভাগ বাস্তবায়ন অনেক গুরুত্ব বহন করে।
২৯ অক্টোবর মানববন্ধন বাস্তবায়নের জন্য বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার বিজয়ী এএইচএম নোমানকে আহবায়ক, কুয়েতের বৃহত্তর নোয়াখালী সমিতির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কাজী মঞ্জুরুল আলমকে সদস্য সচিব ও দৈনিক নতুন সময়ের নির্বাহী সম্পাদক জিল্লুর রহমানকে প্রধান সমন্বয়কারী করে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৫
এইচএ/