ঢাকা: রাজধানীর পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের হোসেনী দালানের পাশে আশুরার তাজিয়া মিছিলে শক্তিশালী চারটি হাত বোমার বিস্ফোরণে একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আবদুল কাদের জিলানী নামে একজন সন্দেহভাজনকে হোসেনী দালানের পেছন থেকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) দিনগত রাত ২টার দিকে বোমা বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে আছেন ৭৩ জন। এর মধ্যে অশঙ্কাজনক রয়েছেন অনেকে। আর মারা গেছেন সানজু নামে ১৫ বছরের এক কিশোর।
ঘটনা প্রসঙ্গে হোসেনী দালানের ম্যানেজিং কমিটির সুপার এম এ ফিরোজ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, হাজার হাজার মানুষ এখানে তাজিয়া মিছিল নিয়ে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক এমন সময় রাত ১টা ৪৫ মিনিট থেকে ২টার মধ্যে পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এতে অনেক মানুষ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তিনি জানান, চারদিক থেকেই ঢিল আকারে বোমা মেরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স ছাড়াও যে যেইভাবে পেরেছেন, আহতদের হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ঢামেক ছাড়াও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে আহতদের চিকিৎসা চলছে। সেখানে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৯ জন।
এদিকে, ঘটনার পরপর স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজি সেলিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি হামলার নিন্দা জানান। দাবি করেন, দেশ অস্থিতিশীল করতেই এই বোমা হামলা চালানো হয়েছে।
ব়্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল জিয়া আহসান সাংবাদিকদের বলেন, দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতেই এই হামলা। পর পর কয়েকটি ঘটনা ঘটলো। যার মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা দু’টি অবিস্ফোরিত ‘লোকাল মেইড হ্যান্ড গ্রেনেড’ উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করেছি। বিষয়টি কারা ঘটিয়েছে এ নিয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। শুধু তাই নয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি আগের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে এই এলাকায়।
একজনকে আটকের বিষয়ে লালবাগ জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) ফয়েজ বলেন, ওই ব্যক্তিকে ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে ধরা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৫, আপডেট ০৭১৬
এসজেএ/এজেডএস/আইএ
** আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক
** স্বাধীনতাবিরোধীরাই এই হামলা চালিয়েছে
** হোসেনী দালান এলাকায় বোমা হামলায় আহত অর্ধশতাধিক
** দেশের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা
