ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ মাঘ ১৪৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দুই সহোদর হত্যা

২৭ বছর পর রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
২৭ বছর পর রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন প্রতীকী ছবি

ঢাকা: ঢাকার দোহারে পদ্মায় জেগে ওঠা চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই সহোদর হত্যা মামলায় ২৭ বছর দেওয়া রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার ৫ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জুয়েল রানা এ রায় ঘোষণা করেন।



দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শেখ খলিল, রেনু সরকার, দুই সহোদর কালাম জঙ্গি ও সালাম জঙ্গি, আমজাদ বেপারী এবং ফয়জল সরদার।

মামলার অপর ৬৬ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, শেখ জুলমত, শেখ সোহরাব, তাসের শেখ, ইসলাম, শাহাজালাল, মজিবুর রহমান, সুবাস, হারুন মুন্সি, নুর মোহাম্মাদ, আব্দুল্লাহ, শেখ খলিল, শেখ হামিদ, জহির উদ্দিন ব্যাপারী, জব্বর ফকির, শেখ মান্নান, খলিল আকন, আপ্তা আকন, রশিদ আকন, ওয়াসেক আকন।

মামলায় বলা হয়, পদ্মায় জেগে ওঠা চরের জমি ভোগদখলে ছিলেন রাজা শিকদার মিজানুর রহমানরা। ১৯৮৮ সালের ২২ নভেম্বর দুপুরে দোহার থানার মুকসেদপুর হাইস্কুলের দক্ষিণ পশ্চিম মুকসেদপুর চরে জনৈক মিজানুর রহমানের ১০৯৪নং দাগের জমিতে আসামিরা জোরপূর্বক ধান বপন করার সময় মামলার বাদী মিজানুর রহমানের ভাই রাজা শিকদার বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বন্দুক দিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করেন। বাদীর আরেক ভাই মমিন শিকদার গুরুতর জখম হলে তাকে আসামিরা ধরে নিয়ে যান এবং হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেন। এছাড়া বাদী ও তাদের পক্ষের আরও অনেকে আসামিদের রামদা, সড়কি, বল্লম, কাতরা ও লাঠির আঘাতে আহত হন।  

ওই ঘটনায় নিহতের ভাই মিজানুর রহমান ঘটনার দিনই দোহার থানায় ৯০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলাটির তদন্ত শেষে ১৯৮৯ সালের ৩১ মে দোহার থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমএ রহমান ১২০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১৯৯৩ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ৭২ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করেন আদালত।

আদালত চার্জশিটভুক্ত ৬৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) গোলাম দস্তগীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৫
এমআই/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।