ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৫
১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন জাটকা ধরা নিষিদ্ধ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

পটুয়াখালী: ইলিশ রক্ষায় জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম শুরু হচ্ছে পহেলা নভেম্বর থেকে। যা চলবে আগামী বছর ৩০ জুন পর্যন্ত।

এ সময়ে সারাদেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও সমুদ্র উপকূলে বাচ্চা ইলিশ অর্থাৎ জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে রয়েছে শাস্তির ব্যবস্থা।

পটুয়াখালী মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল হক বাংলানিউজকে জানান, ইলিশ সাধারণত সারা বছরই কমবেশি ডিম ছাড়ে। কিন্তু আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমাকে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এ সময় জন্ম নেওয়া ইলিশের পোনা নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকায় বিচরণ করে। সেখান থেকে বিস্তার লাভ করে জাটকা ধীরে ধীরে বিভিন্ন মোহনা ও নদ-নদীতে প্রবেশ করে অবাধ বিচরণের জন্য।

তিনি আরো বলেন, এ জন্য সরকার নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত সারাদেশের সব নদ-নদী ও উপকূলীয় এলাকায় ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের চেয়ে ছোট ইলিশ (জাটকা) ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা নিধন করে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি উল্লেখ করে হতাশা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। তারা অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বাংলানিউজকে বলেন, আলীপুর, মহিপুর মৎস্য বন্দর এলাকার কয়েক হাজার জেলে, যারা সাগরে মাছ শিকার করে, তারা সরকারি এ পদক্ষেপ মেনে চলে। কারণ আজকের জাটকা আগামী দিনের বড় ইলিশ। এই আশায় জেলেরা জাটকা শিকার থেকে বিরত থাকলেও ঠিক এই সময় উপকূলের বিভিন্ন নদ-নদীতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কারেন্ট জালসহ বিভিন্ন রকমের নিষিদ্ধ জাল দিয়ে জাটকা নিধন করে।

তিনি বলেন, জাটকা সংরক্ষণ করতে হলে আগে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তা না হলে জাটকা নিধন বন্ধ করা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে, কারেন্ট জালসহ সব ধরনের নিষিদ্ধ জাল যাতে জেলেরা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য কোস্টগার্ডের পক্ষ থেকে উপকূলীয় এলাকায় নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান পটুয়াখালী কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ডেপুটি কমান্ড্যান্ট ক্বামীল আলম। তিনি বলেন, এ বছর পুরো উপকূলীয় এলাকায় কোস্টগার্ডের নিয়মিত ১৪টি টহল জাহাজের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৫
এমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।