ঢাকা: সদ্য শেষ হওয়া হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ওপর ক্ষুব্ধ সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এই অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে কমিটির অভিমত।
এবিষয়ে কর্মকর্তাদের সঠিক জবাব না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন কমিটির সদস্যরা। আগামী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের আগেই এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
কমিটি সূত্র জানায়, শেষ পর্যায়ে বাড়তি কোটায় প্রায় ৫ হাজার হাজী সৌদি আরবে পাঠানো হয়। যাদের কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা করে আদায় করা হয়। কিন্তু বিমান ভাড়া, বাড়ি ভাড়া, খাওয়া, যাতায়াতসহ তাদের মোট খরচ হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। বাড়তি টাকা তাদের ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না।
মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় হজ এজেন্সির মালিকরা বাড়তি অর্থ আত্মসাতের অপচেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়। এবিষয়ে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চান কমিটির সদস্যরা। উপস্থিত কর্মকর্তারা অনিয়মের অভিযোগ করলেও তাদের বক্তব্য কমিটির সদস্যদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। পরে আগামী বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী বাংলানিউজকে বলেন, হজে অনিয়মের বিষয়টি স্পষ্ট। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রতিবেদন দিয়েছে। পত্রিকায় খরব এসেছে। এরপরও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অনিয়ম খুঁজে পাচ্ছেন না। আসলে তারাই অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না। মন্ত্রীও আগে তাই বলেছেন। কিন্তু বৈঠকে মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকায় বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।
আগামী বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এজন্য বৈঠকের আগে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ একটি প্রতিবেদন কমিটির কাছে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের অপকর্মের দায় সংসদীয় কমিটি নেবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন। বৈঠকে কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, সাধন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন, সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও মো. মকবুল হোসেন এবং ধর্ম বিষয়ক সচিব ড. চৌধুরী মো. বাবুল হাসানসহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৫
এসএম/পিসি