ঢাকা: লেখক-প্রকাশক হত্যা ও হামলার প্রতিবাদের হরতালে এবারের জেল হত্যা দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র (একাংশ) ডা. ইমরান এইচ সরকার।
জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনকে হত্যা; কবি তারেক রহিম, শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল ও লেখক-গবেষক রণদীপম বসুকে হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে এবং তাদের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার (০১ নভেম্বর) দেশব্যাপী অর্ধদিবস হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে গণজাগরণ মঞ্চ।
হরতালের সমর্থনে সোমবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত মশাল মিছিল শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কথা বলেন ইমরান এইচ সরকার।
তিনি বলেন, ব্লগার, লেখক, প্রকাশক থেকে শুরু করে যারাই উগ্রবাদী চিন্তার সঙ্গে দ্বিমত করেছেন, তাদেরই হত্যা করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে আমরা দুইদিন ধরে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে আসছি। মঙ্গলবার আমরা সারাদেশে অর্ধবেলা হরতালের ডাক দিয়েছি।
গণজাগরণ মঞ্চ সব সময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করে আসছে জানিয়ে ইমরান বলেন, সারাদেশে গণজাগরণ মঞ্চসহ সমমনা যেসব সংগঠন ইতোমধ্যেই এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন এবং সাধারণ মানুষ যারা রাজপথে নেমে হরতাল পালন করবেন, আশা করছি তারা শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি পালন করবেন।
জেল হত্যা দিবসের প্রসঙ্গে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র বলেন, আগামীকাল ০৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। এ দিনে জাতীয় যে চারজন নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। যে কারণে তারা সংগ্রাম করেছেন, মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আমরা আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। জেল হত্যা দিবস কোনো উৎসবের দিন নয়, তাই তো উৎসবের মাধ্যমে নয়, প্রতিবাদের হরতাল পালনের মধ্য দিয়েই দিবসটি পালন করুন।
এ সময় ঘোষণা দেওয়া হয়, মঙ্গলবার শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্নস্থানে এবং সারাদেশে ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজপথে থেকে হরতাল কর্মসূচি পালন করা হবে।
পরে একটি প্রতিবাদী মশাল মিছিল কাঁটাবন, নীলক্ষেত, টিএসসি হয়ে পুনরায় শাহবাগে এসে শেষ হয়। এতে গণজাগরণ মঞ্চের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমমনা সংগঠনের সদস্যরাও অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৫
আইএ