ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন

রাজনৈতিক দলের মতামত নেবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৫
রাজনৈতিক দলের মতামত নেবে ইসি

ঢাকা: পৌরসভা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে সম্পন্ন করার বিষয়ে খসড়া বিধিমালার ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

এক্ষেত্রে বুধবারই (০৪ নভেম্বর) সব দলের কাছে খসড়া বিধিমালা পাঠানো হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।



এদিকে, ইসির খসড়া বিধিমালা আইন মন্ত্রণালয়েও মতামতের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম-সচিব জেসমিন টুলী বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সময় কম, ডিসেম্বরেরই মধ্যেই নির্বাচন করতে হবে। তাই দু’টি কাজই একসঙ্গে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত এলেও দলগুলোর মতামত বিবেচনার সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে কমিশন বৈঠক করে তাদের মতামত যুক্তিযুক্ত হলে তা অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

ইসির তৈরি খসড়া বিধিমালা থেকে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র দাখিলের প্রক্রিয়া শিথিল করা হচ্ছে। আগে মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থন নিতে হতো। বর্তমানে সেখানে সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে মেয়র পদের জন্য ৪০০ জন এবং কাউন্সিলর পদের জন্য ৫০ জন ভোটারের স্বাক্ষরসহ সমর্থনের বিধান আনা হচ্ছে। এ সংখ্যার মধ্যে একটি নির্দিষ্ট হারের ভোটারদের সমর্থন রিটার্নিং কর্মকর্তা যাচাই করবেন।

এছাড়া, প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ে কোনো পরিবর্তন আনা হচ্ছে না। আসন প্রতি দলের ব্যয় সীমা রাখা হচ্ছে এক লাখ টাকা। তবে কোনো দল একটি মাত্র পৌরসভায় প্রার্থী দিলে সবোর্চ্চ ব্যয় দেখাতে পারবে এক লাখ টাকা। এক্ষেত্রে বিধি লঙ্ঘন করলে দলকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা গুণতে হবে।

অপরদিকে, দলের মনোনয়ন নিতে গেলে কোনো প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট দলের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক বা সমমর্যাদার কার্য নির্বাহকের স্বাক্ষর নেওয়ার বিধানও রাখা হচ্ছে নির্বাচন বিধিমালায়।

ডিসেম্বরের শেষের দিকে ২৪৫ পৌরসভায় দলীয়ভাবে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে সংশোধনী আইন অনুযায়ী নির্বাচনী বিধিমালা ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধনের কাজও করছে ইসি।

সোমবার রাষ্ট্রপতি পৌরসভা আইনের সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি করলে মঙ্গলবার তার গেজেট প্রকাশ হয়। এরপরই নির্বাচন কমিশন  সংশোধনের আলোকে বিধিমালাও সংশোধন করছে।

ইসি সূত্র জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থন নেওয়া বিধানটি কর্মকর্তারা চান না। কেননা সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী অনেক কম থাকে। তবুও রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে হিমশিম খায়। ২৪৫ পৌরসভায় মোট আসন সংখ্যা হবে ৩ হাজার ৪শ’টি।

প্রতিটি পদের জন্য দুই জন করে স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়ালেও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা অসাধ্য হয়ে যাবে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সমর্থকের বাধ্যবাধকতা চান না তারা। কেননা এতগুলো সমর্থকের সঠিকতা যাচাই করা সম্ভব হবে না।

তদের মতে, আগে স্থানীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্দিষ্ট ভোটারের সমর্থন নেওয়ার বিধান ছিলো না। তখন  সমস্যা হয়নি, কাজেই এখনও না থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক উপ-সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন, যেহেতু দলীয় ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। তাই প্রার্থীর সংখ্যা অনেকে বেড়ে যাবে। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভোটারদের সমর্থন নেওয়ার বিধানটি তুলে এ বিষয়ে আলোচনা হতেই পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
ইইউডি/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।