শিবগঞ্জ (বগুড়া) রহবল থেকে ফিরে: মুকুল হোসেনের কি দোষ ছিল? তিনি তো কারো কোনো ক্ষতি করেননি। দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
এটাই কি তার অপরাধ- এ প্রশ্ন দুর্বৃত্তের হাতে নিহত শিল্পপুলিশ সদস্য মুকুল হোসেনের পরিবার ও গ্রামবাসীর।
তাই তারা মুকুলের খুনিদের দেখতে চান। তাকে খুন করার কারণ জানতে চান। খুনিদের বিচার চান। গ্রামবাসী খুনিদের উপযুক্ত বিচারের দাবি করেন। আর পরিবারের সদস্যরা দেখতে চান মুকুলের খুনিদের ফাঁসি।
বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী দেউলি ইউনিয়নের রহবল পূর্বপাড়ায় গেলে নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীর সঙ্গে কথায় এসব কথা জানা যায়।
নিহত মুকুল হোসেনের বাবা শহিদুল ইসলাম ও মা মোর্শেদা বাংলানিউজকে জানান, তাদের অভাবী সংসারের একমাত্র ভরসা ছিল ছেলে মুকুল হোসেন। তার আয়ের ওপর নির্ভরশীল ছিল পুরো সংসার। কিন্তু দুর্বৃত্তরা তাদের সেই সোনার টুকরোকে খুন করেছে।
তাদের ভাষায়, কি এমন দোষ করেছিল আমাদের সোনার ছেলে। যার জন্য তার জীবন কেড়ে নেওয়া হলো। সে তো দেশের সেবা করার জন্য পুলিশের চাকরি নিয়েছিলো। পুলিশের চাকরি নিয়ে সে তো কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে ওরা আমাদের ছেলেকে হত্যা করলো কেন। আমরা ওদের কঠোর শাস্তি চাই।
ছোট ভাই জিসান বাবু বাংলানিউজকে জানান, ভাইকে খুন করে ওরা তাদের সবকিছু লণ্ডভণ্ড করে আগামীর স্বপ্ন ধূলিস্মাৎ করে দিয়েছে। তাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে খুনিরা।
ছোট বোন শম্পা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, খুনিরা ভাইকে মেরে তাদের স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। তিনি তার ভাইয়ের খুনিদের ফাঁসির দাবি জানান।
চাচাতো ভগ্নিপতি আরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মুকুলের মতো একজন ভালো ছেলেকে যারা খুন করেছে তিনি তাদের কঠোর শাস্তি চান। দ্রুত খুনিদের গ্রেফতার দেখতে চান।
এন্তাজ আলী, মমতাজ উদ্দিন, সাজু হোসেন, রফিকুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, সাজিনা বেগমসহ একাধিক গ্রামবাসী বাংলানিউজকে জানান, মুকুল হোসেনের খুনিরা দেশের জন্য নিরাপদ নয়। তারা সব শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য হুমকি। তাই তাদের জেলের বাইরে থাকা ঠিক নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
এমবিএইচ/এএ
** ভরসা আপাতত মোবাইল ফোনের কললিস্ট