ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ মাঘ ১৪৩১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মহম্মদপুরে মধুমতিতে নৌকা বাইচ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৫
মহম্মদপুরে মধুমতিতে নৌকা বাইচ ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মাগুরা: ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্য দিয়ে মাগুরার মহম্মদপুরে মধুমতি নদীতে নৌকা বাইচ ও গ্রামীণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৪ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলা এ নৌকা বাইচ উপভোগ করতে মধুমতির দুই তীরে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ।

এ বছর নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় দু’টি গ্রুপে ছয়টি বাইচের দলকে পুরস্কৃত করা হয়।  

নৌকা বাইচ উপলক্ষে সকাল থেকে মধুমতির দুই তীরে বসে বিশাল গ্রামীণ মেলা। এ মেলায় নাগরদোলা ও বিভিন্ন ধরনের খেলনার পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। প্রাণ আপের সৌজন্যে এ নৌকা বাইচ ও মেলার আয়োজন করা হয়।

বিকেল ৩টার দিকে প্রধান অতিথি হিসেবে নৌকা বাইচের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ্রী বীরেন শিকদার এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, মাগুরার জেলা প্রশাসক মুহ. মাহবুবর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম।

নৌকা বাইচ দেখতে নদীর দুই ধারে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ব্যাপক জনসমাগম ঘটে। এ বাইচে মাগুরা, যশোর, নড়াইল, খুলনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৫টি নৌকা অংশ নেয়। বাইচে এ গ্রুপে শালিখার কাপাশহাটির আজিজ মোল্যার নৌকা প্রথম, ঢুসরাইলের আতর মোল্যার নৌকা দ্বিতীয় ও নড়াইলের সোহরাব হোসেনের নৌকা তৃতীয় হয়।

অপরদিকে, বি গ্রুপে কালিশংকরপুরের কবির হোসেনের নৌকা প্রথম, ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার কালু ফকিরের নৌকা দ্বিতীয় ও মাগুরা সদরের বাহরবাগ এলাকার হালিম মোল্যার নৌকা তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
 
প্রতিমন্ত্রী বিরেন শিকদার বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক নৌকার মালিককেই পুরস্কৃত করা হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে উজ্জীবিত করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলার হারানো ঐতিহ্য আবার ফিরে আসবে। এ ধরনের নৌকা বাইচ আয়োজনের মধ্য দিয়ে নৌকা বাইচ যেমন বেঁচে থাকবে, তেমনি নদী বাঁচাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে। তিনি প্রতি বছর এ ধরনের আয়োজন চালিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।